কলকাতাঃ গড়িয়াহাট কাঁকুলিয়া জোড়া খুনে পরিচারিকা মিঠু হালদারের পুলিশি হেফাজত। আগামী ৩ নভেম্বর পর্যন্ত তাঁকে পুলিশি হেফাজতে রাখা হবে। এই ঘটনায় আগেই পুলিশ আটক করেছিল পরিচারিকা মিঠু হালদারকে। রাতভর জেরা করার পর অবশেষে গ্রেফতার করা হল মিঠু হালদারকে। বুধবার বিকাল ৪ টে নাগাদ লাল বাজার গ্রেফতার করে তাঁকে। কাঁকুলিয়া রোডে খুনের ঘটনায় তদন্ত ভার নিয়েছিল লাল বাজারের হোমিসাইড শাখা। তারপর থেকেই জোর কদমে শুরু হয় তদন্ত। এর মধ্যেই তদন্তের স্বার্থে মঙ্গলবার রাতে ডায়মন্ড হারবারের পৌঁছয় লাল বাজার। কপাট হাট থেকে চাকী পরিবারের পরিচারিকা মিঠু হালদারকে আটক করে হোমিসাইড শাখার আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন রহস্যের জাল গুটিয়ে আনছে লালবাজার, গড়িয়াহাট জোড়া খুনে চিহ্নিত মূল অভিযুক্ত
এর পর তাঁকে কলকাতায় নিয়ে আসা হলে চলে ম্যারাথন জেরা। টানা জেরার পর গ্রেফতার করা হয় সুবীর চাকীর বাড়ির পরিচারিকা মিঠু হালদারকে। গড়িয়াহাট কাকুলিয়া জোড়া খুনের ঘটনায় এই প্রথম গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে। ঘটনার তদন্ত চলছে । আরও বেশ কয়েকজন গ্রেফতার হতে পারে বলেই মত আধিকারিকদের।
আরও পড়ুন ১৬ দিনের মেয়েকে খুন করে জমিতে পুঁতে রেখেছিল বাবা, পরে গ্রেফতার
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই বাড়ির মালিক সুবীর চাকী বাড়ি বিক্রির বিজ্ঞাপণ দিয়েছিলেন। পরিচারিকা মিঠুর বড় ছেলে ওই বাড়িটি কেনার জন্য সুবীর চাকীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ওই বাড়িটি দেখতেও আসেন। এর পরেই ওই পরিচারিকার ছেলে আবারও অন্য ক্রেতার হয়ে ওই বাড়ির মালিক সুবীর চাকীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তবে, এবার পরিচারিকা এবং তাঁর ছেলে মিলে ষড়যন্ত্র করেন। সেই পরিকল্পনা মতই গোটা ঘটনা ঘটানো হয় বলে অনুমান পুলিশের। লাল বাজারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এই ঘটনায় আরও কেউ যুক্ত রয়েছে। তাঁরা ধরা পড়লে গোটা বিষয়টা স্পষ্ট হবে। ইতিমধ্যেই পরিচারিকার বড় ছেলের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।