কলকাতা: একুশের নির্বাচনে মোদির বিজয় রথকে রুখে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী বছর উত্তর প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন। তারপরই ২০২৪-এর লোকসভা ভোট। মোদির বিরুদ্ধে বিরোধীদের জোটের মুখ হিসেবে মমতাকেই তুলে ধরতে চায় দেশের বহু রাজনৈতিক দল। এ রকম পরিস্থিতিতে ২০২৩-র ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনের আগে আইপ্যাক কাজ শুরু করতে চলেছে। সূত্রের খবর, আগামী সপ্তাহে ত্রিপুরা যেতে পারে আইপ্যাকের একটি দল। তারা ত্রিপুরাতেও তৃণমূল কংগ্রেসকে সহযোগী হিসেবে কাজ করবে।
আরও পড়ুন- Exclusive: বারলার বাংলা ভাগের দাবিকে সমর্থন করে হুঁশিয়ারি জীবন সিংহের
আগামী ২০২৬ সাল পর্যন্ত তৃণমূলের সঙ্গে আইপ্যাক চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। কারণ, একুশের ভোটে তৃণমূলের ভোটের ফলেই স্পষ্ট, কতটা সফল প্রশান্ত ও আইপ্যাকের রণনীতি। সেই কৌশলই এবার ত্রিপুরার রাজনৈতিক ময়দানে নামতে চলেছে তৃণমূল। বাংলার মতো ত্রিপুরায় বামেদের সরিয়ে বিজেপি ও তৃণমূলের দ্বিমুখী লড়াইয়ের জমি তৈরি করবে আইপ্যাক।
আরও পড়ুন- রামাপ্পা মন্দিরকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ ঘোষণা ইউনেস্কোর
সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব নেওয়ার পর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, দু-একটা আসন নয় বরং অন্য রাজ্যে ক্ষমতা দখলের জন্যেই যাবে তৃণমূল। ধাপে ধাপে সেই লক্ষ্যেই এগচ্ছে তৃণমূল। তাই ত্রিপুরা বিধানসভা ভোটের ২ বছর আগে উত্তর-পূর্বের ওই রাজ্যে নেমে পড়তে চলেছে আইপ্যাক।
আরও পড়ুন- বাবার মৃত্যুর ২৫ বছর পর পুলিশে চাকরি জন্মান্ধ ছেলের
ভোটের অনেকটা আগে থেকেই প্রশান্ত কিশোর ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, তৃণমূল ২০০ আসন পার করবে। বিজেপি ১০০ আসন ওপাবে না। এমনকি তিনি এমনও বলেছিলেন, তাঁর ভবিষ্যদ্বাণী যদি ভুল হয় তবে তিনি এই পেশাই ছেড়ে দেবেন। বলাই বাহুল্য ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর জ্যোতিষীর মতো অঙ্ক মিলিয়ে দিয়েছেন।
আরও পড়ুন- “বিজয়ন ভগবান, ঈশ্বর বামপন্থী”, কেরলের মন্দিরের সামনে টাঙানো হল ফ্লেক্স
২০১৯ সালের জুলাই মাসে তৃণমূলের ‘পরামর্শদাতা’ হিসেবে নিয়োগের পর প্রশান্তের লক্ষ্য ছিল ‘মিশন২০২১’। রাজনীতির কারবারিদের অনুমান, সেই ‘মিশন’ সফল হওয়ার পর এবার তৃণমূল এবং আইপ্যাকের লক্ষ্য ‘দিল্লি চলো’।