বেঙ্গালুরু: যাঁর দম্ভ নতুন কিছু সৃষ্টি করে, তাঁর নাম ইগর স্টিমাচ (Igor Stimac)। মশলা ছাড়াও বিরিয়ানি বানাতে জানেন তিনি। ভারতীয় ফুটবল দল শুধু যে ফিফার র্যাঙ্কিংয়ে ১০০ ছুঁয়েছে এমনটা নয়। পাশাপাশি একের পর এক ট্রফি জিতছে। ভারতীয় দলের এই সব সাফল্যের একমাত্র কারিগর আর কেউ নন, ইগর স্টিমাচ। কোচ হিসেবে নয়, সুনীল ছেত্রীদের (Sunil Chhetri) পাশে থেকেছেন টুয়েলভথ ম্যান হিসাবে। আজ এই জয় উৎসর্গ করা যেতেই পারে ফুটবলার স্টিমাচকে।
ইগরের এই জার্নি শুরু হয়েছিল ২০১২ সালে। ক্রোয়েশিয়ার (Croatia) কোচ হিসাবে তাঁকে নিযুক্ত করা হয়েছিল। স্টিমাচ ক্রোয়েশিয়াকে সফলতা এনে দিতে পারেন কি না সেই দিকেই তাকিয়েছিলেন ফুটবলপ্রেমীরা। আর সেটাই সত্যি হল। রাতারাতি জাদু করলেন প্রাক্তন এই ফুটবলার। চোখের নিমেষে তিনি ক্রোয়েশিয়াকে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে চার নম্বরে তুলে এনেছিলেন, যা সত্যিই অবিশ্বাস্য। সেই স্টিমাচকেই পরে ভারতীয় দলে আনা হয়।
আরও পড়ুন: ফুটবল ফেডারেশনের বিচারে বর্ষসেরা ফুটবলার হলেন লালিয়ানজুয়ালা ছাংতে
সালটা ২০১৯, সুনীল ছেত্রী বাদে আর তেমন কেউ নেই যাঁর উপর ভরসা করে ট্রফি জিততে পারে ভারত। ড্রাইভিং সিটে বসলেন ইগর স্টিমাচ। তিনি দায়িত্ব পাওয়ার পর আঁচ করা যাচ্ছিল না, দলের অবস্থাটা ঠিক কেমন। প্রথমার্ধে ভারতীয় দলকে খুবই ছন্নছাড়া লাগত। তবে ড্রাইভিং সিটে বসে থাকা ব্যক্তির নাম ইগর স্টিমাচ। তিনি সত্যিই জানতেন কতটা স্পিডে গাড়িটা চালাতে হয়।
এরপর থেকে ভারতীয় দর্শকরা দেখতে শুরু করলেন, ছোট ছোট পাস খেলে কীভাবে বিপক্ষ দলের বক্সে ঢুকে পড়া যায়। কিংবা লং বল না খেলে, টানা আট ম্যাচ ধরে ক্লিনশিট বজায় রাখতে পারেন প্রীতম কোটালরা। আবার পেনাল্টি শুট-আউটে পৌঁছে দাপটের সঙ্গে ফাইনাল জেতার কাহিনি। স্টিমাচের মতো কোচ থাকলে, সাফ কাপের মতো একদিন হয়তো বিশ্বকাপও আসবে ভারতের ঘরে।