বিজেপির নবান্ন অভিযান নিয়ে স্বরাষ্ট্রসচিবের কাছে রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী সোমবারের মধ্যে রিপোর্ট পেশ করতে হবে। মামলার পরবর্তী শুনানি ওইদিনই।
বিজেপির নবান্ন অভিযানে পুলিশি বাড়াবাড়ি, রাজ্য বিজেপি দফতরে ঝামেলা, দলীয় কর্মীদের কলকাতায় আসতে বাধাদান ইত্যাদি বিষয়কে সামনে রেখে মঙ্গলবার আদালতে মামলা হয়। এই অভিযানের যৌক্তিকতা নিয়েও পাল্টা মামলা হয়।
আবেদনকারী সুকান্ত ঘোষের আইনজীবী সুবীর সান্যাল বলেন, পুলিশ জেলায় জেলায় বিজেপি কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে অভিযানে না আসার জন্য হুমকি দিয়েছে। প্রচুর কার্যকর্তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে। অথচ আদালতের নির্দেশ আছে, তাঁর বিরুদ্ধে কোনও কড়া ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না। বিজেপির রাজ্য দফতরে ঢুকে আজ মহিলা কর্মীদের হেনস্তা করা হয়েছে।
রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, হাওড়ার পুলিশ ২০ জুলাই থেকে ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করে। বিষয়টি পুলিশ কমিশনারেট বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েও দেয়। তা সত্ত্বেও বিজেপি আজ নবান্ন অভিযান করেছে। পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে, পুলিশকে আক্রমণ করা হয়েছে, ৫০ জন পুলিশ কর্মী জখম হন, লাইট পোস্ট ভেঙে ফেলা হয়েছে। এটা নাকি শান্তিপূর্ণ আন্দোলন। মামলার আবেদন গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। তিনি আরও বলেন, হাইকোর্ট বিরোধী নেতাকে রক্ষাকবচ দিয়েছে ঠিকই। তার মানে এই নয় যে, তিনি ১৪৪ ধরা ভাঙলে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না।
মামলাকারীর আইনজীবী বলেন, হাওড়ার পুলিশ কমিশনার ১৯ জুলাই যে বিজ্ঞপ্তি জারি করেন, তাতে একটি নির্দিষ্ট এলাকায় ১৪৪ ধারা জারির কথা বলা হয়। ওই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী কাউকে রেসকোর্স থেকে গ্রেফতার করা যায় না। দুই পক্ষের সওয়াল শেষে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, বিরোধী দলের সদর দফতরের নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে, সরকারি সম্পত্তি যাতে নষ্ট না হয়, তার দিকে খেয়াল রাখতে হবে, অযথা যেন কাউকে গ্রেফতার না করা হয়। আদালত সোমবারের মধ্যে স্বরাষ্ট্রসচিবকে এ ব্যাপারে রিপোর্ট দিতে বলেছে।