হরিহরপাড়া: ভোটের (Panchayat Vote) দিন মারধরের ঘটনায় জখম হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছিল সিপিএম (CPM) কর্মী রিন্টু শেখের (Rintu Seikh)(৪৩)। হরিহরপাড়া (Hariharpara) ব্লকের নিয়ামতপুর গ্রামে ভোটের দিন আক্রান্ত হওয়ার পর মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়েছিল রিন্টুকে। এরপর শারীরিক অবস্থা অবনতি হওয়ার কারণে কলকাতার এন আর এস হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় তাঁকে। চিকিৎসারত অবস্থায় গত ১৬ জুলাই রবিবার দুপুর ১:৩০ নাগাদ মৃত্যু হয় রিন্টু শেখের। সেই রিন্টুর পরিবারের পাশে দাঁড়ালো সিপিআইএম রাজ্য এবং জেলা কমিটি।
রবিবার সকালে ওই গ্রামে পৌঁছলেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম (Md Selim) এবং জেলা সিপিএম সম্পাদক জামির মোল্লা (Jamir Molla)। নিহত পরিবারের হাতে রাজ্য কমিটি থেকে ১ লক্ষ টাকা এবং জেলা থেকে ৫০ হাজার টাকা তুলে দেওয়া হল। নিহতের দুই ছেলের পড়াশোনার দায়িত্ব নিল সিপিএম। এদিকে ওই মৃত্যুর ঘটনায় তৃণমূল জড়িত বলে দাবি সিপিএমের।
মহম্মদ সেলিম বলেন, ভোটের দিন গুন্ডাবাহিনীরা ভোট লুট করেছিল। সে রকম ভাবেই নিয়ামতপুর গ্রামে তৃণমূলের ভোট লুট করার সময় বাধা দিতে গিয়েছিল সিপিএম কর্মী সমর্থকেরা । সেই সময় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা লোহার রড, লাঠি দিয়ে মারধর করে একাধিক সিপিএম কর্মী সমর্থককে । সেই ঘটনায় রিন্টু শেখের মাথায় গুরুতর আঘাত লাগে ।এরপর তার কলকাতায় মৃত্যু হয় । সেলিম বলেন, এধরনের ঘটনা চলতে পারে না। ওই খুন পরিকল্পিত, তার জন্য দায়ী রাজ্য সরকার। আমরা আদালতের মধ্যে আইনি লড়াই লড়ব। রাস্তা ঘাটেও লড়াই চলবে।