নয়াদিল্লি ও কলকাতা: মোদি-বিরোধী জোটের শীর্ষ নীতি-কৌশল রূপায়ণ কমিটির প্রথম বৈঠক আগামিকাল, বুধবার। ইন্ডিয়া জোটের সেই সমন্বয় কমিটির প্রথম বৈঠকেই তাৎপর্যপূর্ণভাবে গরহাজির থাকবেন তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কারণ, ইডি-র তলব। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তৃণমূলের তরফে বিজেপি এবং নরেন্দ্র মোদিকে হাড়িকাঠে চাপিয়ে বিবৃতি দেওয়া হলেও ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে, আদতে ইডির তলবে হাজিরা দিতে চলেছেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক। দিল্লিতে এনসিপি নেতা শারদ পাওয়ারের বাসভবনে বিকালে সমন্বয় কমিটির বৈঠক বসার কথা। সেখানে উপস্থিত থাকবেন কংগ্রেস নেতা কেসি বেণুগোপাল, উদ্ধব সেনার সঞ্জয় রাউত সহ কমিটির সদস্যরা।
এই বৈঠকের মুখ্য আলোচ্য বিষয় ছিল ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিরোধীদের মধ্যে আসন সমঝোতা এবং প্রচার কৌশল ঠিক করা। বিশেষত আঞ্চলিক রাজনীতিতে অনেক রাজ্যেই বিরোধী জোটের দলগুলি পরস্পরের বিরুদ্ধে লড়াই চালাচ্ছে। যেমন, দিল্লি, কেরল, পঞ্জাব এবং পশ্চিমবঙ্গেও। ফলে এই বৈঠকে যদি অভিষেক উপস্থিত না থাকতে পারেন, তাহলে আসন বণ্টনের বিষয়টি পিছিয়ে যেতে পারে বলে অনুমান রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের।
আরও পড়ুন: সমন গ্রেফতারির জন্য নয়, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য, আদালতে জানাল ইডি
সম্প্রতি সাত বিধানসভার উপনির্বাচনে ৪-৩ ফলে এনডিএ পিছিয়ে থাকায় বিরোধী জোটের মধ্যে নতুন প্রাণ স্ফূরণ ঘটেছে। সেক্ষেত্রে এই বৈঠকের গুরুত্ব বুঝে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ওই একইদিনে ইডি তলব করেছে বলে এদিন অভিযোগ তোলে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল ভবনে এক সাংবাদিক সম্মেলনে শশী পাঁজা ও পার্থ ভৌমিক বলেন, সমন্বয় কমিটির সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের যোগ দেওয়ার কথা। কিন্তু, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে ওইদিনই তাঁকে ইডি তলব করেছে।
ঘটনাবলি ক্রমপর্যায়ে তৃণমূলের অভিযোগ, ধূপগুড়ি উপনির্বাচনে বিজেপির হাত থেকে কেন্দ্রটি ছিনিয়ে আনা, ২০২২ সালেও ছাত্র পরিষদের অভূতপূর্ব জনসমাবেশের পর অভিষেককে ইডির তলব, এমনকী তৃণমূলে নবজোয়ার চলাকালীনও তাঁকে দুবার তলব করা হয়েছে। ফলে বোঝাই যাচ্ছে, গুরুত্বপূর্ণ দিনগুলিতেই অভিষেককে ঠেকাতে উঠেপড়ে লেগেছে ওরা। এবারেও ইন্ডিয়া জোটের সমন্বয় কমিটিতে তিনি যাতে না থাকতে পারেন, তার জন্যই এই তলব বলে দাবি তৃণমূলের। বিজেপির অভিষেক-আতঙ্ক এইসব ঘটনাতেই প্রমাণিত বলে দাবি করেন শশী পাঁজা এবং পার্থ ভৌমিক।