রায়পুর: ডিসেম্বরের মধ্যে নতুন সরকার গঠন হতে চলেছে। তার আগে ছত্তিশগড়( Chhattisgarh) বিধানসভায় ( Assembly) ‘মিডিয়া পারসন্স প্রোটেকশন বিল ২০২৩'(Media Persons Protection Bill 2023) পাশ হল। সংবাদকর্মীদের( Media Persons) সুরক্ষা (Protection) এবং তাঁদের বিরুদ্ধে হামলা ও হুমকি প্রতিরোধের (Prevent Violence) জন্যই এই বিল। মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল(Chief Minister Bhupesh Baghel) আলোচনার জন্য বিলটি সভায় পেশ করেছিলেন, বিলটিকে ‘ঐতিহাসিক’ বলে অভিহিত করেন। ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনের(Assembly Elections) আগে, কংগ্রেস (Congress) তার ইস্তাহারে রাজ্যের সাংবাদিকদের (Journalist) সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য একটি আইন আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। ক্ষমতায় আসার পর সেই কথা রাখলেন বাঘেল। সংবাদকর্মীদের সুরক্ষার জন্য বিল আনলেন।
বিরোধী বিজেপি (BJP) বিধায়করা দাবি করেছিলেন যে বিলটি পর্যালোচনার জন্য বিধানসভার সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানো হবে, যা স্পিকার চরণদাস মহন্ত খারিজ করে দেন বুধবারই। বিলটি পাশ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, সংবাদের সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের খবর করার জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত নানান পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হয়। জীবনের জন্য বিপদ সৃষ্টি করে এবং কর্মী বা সংবাদ প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি ও সম্পত্তির ক্ষতি হতে পারে, সঙ্গে অশান্তি সৃষ্টি করতে পারে, বলে তিনি জানান। এই বিল সংবাদকর্মীদের জীবন ও সম্পত্তির সুরক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যেই।
এই আইনটি বাস্তবায়নের জন্য বেশ কয়েকবার দাবি জানানো হয়েছিল এবং এ বিষয়ে ২০১৯ সালে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি আফতাব আলমের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সকলের সঙ্গে আলোচনা করে এই আইনটি তৈরি করা হয়েছে। এই দিনটি সোনালি অক্ষরে লেখা হবে। এটি একটি ঐতিহাসিক দিন, বলেন মুখ্যমন্ত্রী।
বিরোধী দলনেতা নারায়ণ চাণ্ডেল এবং অজয় চন্দ্রকর সহ বিজেপি বিধায়করা জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে রাজ্য সরকার এডিটর্স গিল্ড, প্রেস কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া বা রাজ্যের প্রেস ক্লাবগুলির সঙ্গে পরামর্শ করেছে কি না এবং খসড়া তৈরির জন্য গঠিত কমিটির দ্বারা সুপারিশ করা হয়েছে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তারা বিলটি সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানোর দাবি জানিয়েছেন। এদিকে, কংগ্রেস সদস্যরা দাবি করেছেন যে বিজেপি সাংবাদিকদের স্বার্থের বিরুদ্ধে এবং বিলটি আটকানোর চেষ্টা করছে। বিরোধীদের দাবি নাকচ করে দেন স্পিকার চরণদাস মহন্ত।
বিল অনুসারে, ছত্তিশগড়ে (Chhattisgarh) বসবাসকারী এবং সাংবাদিকতায় কমপক্ষে এক বছরের অভিজ্ঞতা থাকা একজন সংবাদ কর্মী এই আইনের আওতায় আসবেন। যিনি গত তিন মাসে একটি সংবাদ প্রতিষ্ঠানে একজন লেখক বা সহ-লেখক হিসাবে ছয়টি নিবন্ধ বা সংবাদ প্রকাশ করেছেন অথবা কেউ সংবাদ প্রতিষ্ঠান থেকে ন্যূনতম তিনটি বেতন পেয়েছেন, তিনি এই আইনের আওতায় আসবেন।
সূত্রের খবর, সরকার একটি কমিটি গঠন করবে যা আইনটি কার্যকর হওয়ার ৯০দিনের মধ্যে ‘ছত্তিশগড় মিডিয়া ফ্রিডম, প্রোটেকশন অ্যান্ড প্রমোশন কমিটি’ নামে পরিচিত হবে, যা সংবাদ কর্মীদের নাম তালিকাভুক্ত করার কাজ করবে। কমিটি গণমাধ্যমকর্মীদের সুরক্ষা সংক্রান্ত অভিযোগের সমাধান করবে।