কলকাতা: শুধু অডিও ক্লিপ নয়৷ নিজেকে বিজেপির যুব নেতা পরিচয় দেওয়া প্রীতম সরকারের (Pritam Sarkar) সঙ্গে রাজ্য বিজেপির (BJP) একাধিক পদস্থ কর্তার ছবিও ভাইরাল সামাজিক মাধ্যমে৷ পুর ভোটের আগে এরকম বেশ কয়েকটি বিষয় রাজ্য গেরুয়া শিবিরকে চিন্তায় ফেলেছে৷
সাংবাদিক সম্মেলনে দিলীপ ঘোষের পিছনে দাঁড়িয়ে প্রীতম সরকার৷
ভাইরাল ছবি গুলিতে কখনও বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, কখনও বা বর্তমান রাজ্য সভাপতি সুকান্ত সজুমদারের সঙ্গে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে প্রীতম সরকারকে দেখা গিয়েছে৷ বিজেপির কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা শিবকুমারের সঙ্গেও ছবি রয়েছে প্রীতমের৷ সেই ছবি গুলি প্রীতম সরকার নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে ক্যাপশন দিয়েও পোস্ট করেছেন৷
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক,দিলীপ ঘোষ, রাহুল সিনহাদের সঙ্গে প্রীতম সরকার৷
এ কারণে বিপর্যয় সামাল দেওয়ার চেষ্টা করা হলেও বিতর্ক কিন্তু পিছু ছাড়ছে সুকান্ত মজুমদার, দিলপী ঘোষদের৷ তাই, টাকার বিনিময়ে পুরভোটে বিজেপির টিকিট বিক্রি নিয়ে প্রকাশ্যে আসা অডিয়ো টেপের তদন্তের নির্দেশ নির্বাচনের আগে কতটা বিপর্যয় সামাল দিতে পারবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে গেরুয়া শিবিরের অন্দরে৷
জাতীয় গ্রন্থাগারে সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে প্রীতম সরকার৷
এ দিকে প্রীতম সরকারের সঙ্গে আসন নিয়ে আলোচনা করতে শোনা গিয়েছে হাম নেতা শতদ্রু রায়ের৷ সোমবার তিনি আবার সাংবাদিক সম্মেলন করে যা বললেন তাতে আরও চাপে পড়েছে গেরুয়া শিবির৷ তিনি বলেন, ‘আমার সঙ্গে প্রীতমবাবুর পরিচয় তিস্তা বিশ্বাসের মৃত্যুর সময়। আমার সঙ্গে বেশ কয়েকবার তাঁর আসনবণ্টন নিয়ে কথা হয়। টাকার কথা উঠতেই আমি কল রেকর্ড করি। কিন্তু, আমি টেপ ফাঁস করিনি। যেখানে প্রীতমের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছিলাম, সেখান থেকেই ফাঁস হয়েছে অডিও ক্লিপটি৷’