কলকাতা: ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট৷ পাশাপাশি অপেক্ষাকৃত কম গুরুতর মামলার ক্ষেত্রে তদন্তের জন্য সিট গঠনের কথা বলা হয়েছে৷ হাইকোর্টের রায়ে অখুশি রাজ্য সরকার৷ তারা সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার চিন্তা-ভাবনা করছে৷ তার আগে বিজেপিকে একহাত নিয়েছে তৃণমূল শিবির৷ মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ৷
আরও পড়ুন: হাইকোর্টের রায়ে অখুশি রাজ্য, সুপ্রিমকোর্টে যাওয়ার ভাবনা
বিজেপিকে তোপ দেগে কুণাল ঘোষ বলেন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন বিজেপির শাখা সংগঠনের মত কাজ করেছে৷ গণতন্ত্রের রায়ে হেরে গিয়েছে৷ এখন কোর্টকে প্রভাবিত করে মানবাধিকার কমিশনকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছে৷ বহু জায়গায় তৃণমূল কর্মী খুন হয়েছে৷ কই, মানবাধিকার কমিশনের কর্মীরা সেখানে গেলেন না৷ বিজেপির লোকেদের সঙ্গে ঘুরে বেড়ালেন৷ হাইকোর্ট যা রায় দিয়েছে প্রকাশ্যে সমালোচনা করা যায় না৷ রাজ্য সরকার আইনি দিক খতিয়ে দেখছে৷ রায় খতিয়ে দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ৷
আরও পড়ুন: স্বামী-সন্তান ছেড়ে গাড়ি চালককে ‘বিয়ে’ শালতোড়ার বিজেপি বিধায়কের
ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। বেঞ্চ জানিয়েছে, ভোট পরবর্তী অস্বাভাবিক খুন ও ধর্ষণের ঘটনার তদন্ত করবে সিবিআই৷ অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগের তদন্ত করবে সিট৷ একই সঙ্গে জানানো হয়েছে, তিন আইপিএস আধিকারিক সুমনবালা সাহু, সৌমেন মিত্র এবং রণবীর কুমারের নেতৃত্বে সিট গঠিত হবে। সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নজরদারিতে কাজ করবে সিট। বাড়িঘর ভাঙচুর, আগুন লাগানো, মারধর করা, ঘরছাড়া করার মতো অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার তদন্ত করবে সিট। ছয় সপ্তাহের মধ্যে সিট এবং সিবিআই-কে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ বৃহস্পতিবারের রায়ে আরও জানানো হয়েছে, হিংসার ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের অতি দ্রুত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে৷