কলকাতা : ২০১৪-র লোকসভা ভোটের প্রচারে এসে নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, ‘মুঝে বাবুল চাহিয়ে’ ৷
আর আজ তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর সুপ্রিয় বড়াল ওরফে বাবুল সুপ্রিয় বিজেপিকে বুঝিয়ে দিলেন, চললাম… ৷ আসানসোলের সাংসদ পদ ছাড়ার ইঙ্গিত দিয়ে দিলেন বাবুল ৷ বলে দিলেন, বিজেপি’র টিকিটে জিতে আসা সাংসদ পদটি নিয়ে তিনি আর বেশি আলোচনা চান না ৷ অর্থাৎ, তিনি যে আসানসোলের সাংসদ পদ ছাড়ছেন তাও কার্যত নিশ্চিত ৷
তবে, কবে-কখন সাংসদ পদ ছাড়বেন তা স্পষ্ট করে কিছু জানাননি বাবুল ৷ কেবল বলেছেন, নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনা করেই সাংসদ পদ ছাড়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন ৷ সূত্রের খবর, খুব সম্ভবত, মঙ্গলবার সাংসদ পদ ছাড়ার বিষয়ে লোকসভার অধ্যক্ষকে জানাতে পারেন বাবুল ৷
বাবুলের এই বক্তব্যের পরই শুরু হয়েছে নতুন করে জল্পনা ৷ প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তাহলে কি আসানসোলের লোকসভা উপ-নির্বাচন আসন্ন ৷ পাশাপাশি আরও একটা প্রশ্ন উঠছে, যদি আসানসোলে ভোট হয়, তাহলে সেখানে কাকে প্রার্থী করা হবে ? এ ক্ষেত্রে উঠে আসছে তৃণমূলে যুব-র সর্বভারতীয় সভাপতি সায়নী ঘোষের নাম ৷ গত বিধানসভা নির্বাচনে সায়নী হেরে গেলেও নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অতি কাছের মানুষ হয়ে ওঠেন ৷ সেখানকার তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের মন জয় করতেও সক্ষম হন সায়নী ৷
আরও পড়ুন-বিজেপি বলছে ধান্দাবাজ, বাবুলের যোগদানে বামেরা বলছে রাজনীতি কলুষিত হল
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, রাজ্যসভায় অর্পিতার ছেড়ে আসা আসনে পাঠানো হতে পারে আসানসোলের সাংসদকে। দিন কয়েক আগেই আচমকা রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেন অর্পিতা ঘোষ। এ ছাড়া বাবুলের সর্বভারতীয় পরিচিত রয়েছে। ভিন রাজ্যে তৃণমূলের সংগঠন বিস্তারের কাজেও লাগানো হতে পারে তাঁকে। বাবুল অবশ্য স্পষ্ট করে কিছু বললে চাননি ভবিষ্যতে কী ভূমিকায় দেখা যাবে তাঁকে।