ধুবুলিয়া ও তমলুক: আবাস যোজনা (Awash Yojana) নিয়ে বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না শাসক দলের। কোথাও পঞ্চায়েত (Panchayat) কর্তার স্ত্রীর নাম তালিকায় দুবার, আবার কোথাও নাম বাদ দেওয়া নিয়ে অভিযোগ শাসক দলের বিরুদ্ধে।
তালিকায় পূর্ত কর্মাধ্যক্ষের স্ত্রীর নাম। তাও একবার নয় তালিকায় (List) নাম রয়েছে দুবার। চাঞ্চল্য নদিয়ার ধুবুলিয়া এলাকায়। কৃষ্ণনগর দু’নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সিদ্ধার্থ ঘোষ এর স্ত্রী অপর্না ঘোষের নাম তালিকায় দুবার, কিন্তু দুটিতে বাবার নাম আলাদা। একই ব্যক্তির নাম তালিকা দুবার কি করে উঠল সেটা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
আর যার নাম নিয়ে বিতর্ক সেই অপর্ণা ঘোষের দাবি, তাঁদের আগে বাড়ির (House) দরকার ছিল তাই আবেদন করা হয়েছিল এখন বাড়ি হয়েছে তাই নাম বাদ দেওয়ার জন্য আবেদন জানানো হয়েছে। যদিও দুটো নাম প্রসঙ্গে তিনি কিছুই জানেন না বলে জানিয়েছেন। এই বিষয়ে ধুবুলিয়া এক নম্বর পঞ্চায়েতের প্রধান নজরুল বিশ্বাস জানিয়েছেন, ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিককে নতুন নামের তালিকা পাঠানো হয়েছে। যার মধ্যে বেশ কিছু নাম বাদ দেওয়া হয়েছে যারা পাওয়ার যোগ্য নয় তবে একই নামে দু’বার তালিকায় থাকার কথাটি অস্বীকার করেন।
অন্যদিকে অপর্না ঘোষের বাবা দর্শন ঘোষ জানিয়েছেন তার ভালো নাম দর্শন এবং ডাকনাম গেরা ঘোষ তবে বাড়ির লিস্টে নাম থাকার ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না। আর এই নিয়ে বিরোধীদের (Opposition) কটাক্ষ সারা রাজ্যের মতই এই এলাকায় গরিব মানুষের বদলে ঘর পেয়েছেন তৃণমূলের (AITC) নেতা নেত্রী আর তাদের আত্মীয়-স্বজনরা। এখন একজনের নাম তালিকায় দুবার। এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
সোমবার তমলুক শহীদ মাতঙ্গিনী ব্লক-এর বল্লুক এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বল্লুক এলাকায় সংসদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এলাকাবাসীদের অভিযোগ যে আবাস যোজনা বাড়ি পাওয়ার জন্য নাম এসেছিল পরবর্তীকালে নাম কেটে দেয়। উত্তেজিত গ্রামবাসীরা অভিযোগ করেন, যাদের পাকা বাড়ি রয়েছে তাদের বাড়ির নাম দ্বিতীয় বারে এসেছে। আর যাদের বাড়ির ভগ্নদশা অবস্থা নাম তাঁদের কেন কাটা হল। সংসদ সভায় বিক্ষোভ (Agitation)দেখান উত্তেজিত গ্রামবাসীরা। আর তার জেরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সংসদ সভা।