নয়াদিল্লি: ভবিষ্যতে বালেশ্বরের মতো ট্রেন দুর্ঘটনা এড়ানোর ‘রক্ষাকবচ’ হাতে পেয়ে গেল রেল। সিগন্যাল ফেল করা ট্রেন দুর্ঘটনায় যাতে না পড়ে, তার প্রযুক্তিগত কৌশলের পরীক্ষায় উতরে গেল ভারতীয় রেল কর্তৃপক্ষ। রেলওয়ের ‘কবচ’ ব্রেকিং সিস্টেম সফলভাবে কাজ করল, ১৬০ কিমি গতিতে চলা ট্রেনকে সিগন্যালের ৩০ মিটার আগে থামিয়ে দিয়ে।
রিসার্চ ডিজাইনস অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অর্গানাইজেশনের তৈরি কবচ ব্রেকিং সিস্টেম। ট্রেনচালক সময়মতো ব্রেক কষতে ব্যর্থ হলে, এই অত্যাধুনিক প্রযুক্তি স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করবে। অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে ব্রেক কষে দাঁড় করিয়ে দেবে ট্রেনকে। ফলে ভয়ঙ্করতম দুর্ঘটনার হাত এড়ানো সম্ভব হবে। ভারতীয় রেল এই প্রযুক্তিকে সারা দেশেই দ্রুতগামী, দূরপাল্লার ট্রেনে ব্যবহার করবে।
আরও পড়ুন: ‘তভি তো সব মোদি কো চুনতে হ্যায়’, ভোটবাজারে মিউজিক ভিডিও-অস্ত্র ছাড়ল বিজেপি
সম্প্রতি প্রযুক্তিগত পরীক্ষার সময় হাজির ছিলেন উত্তর-মধ্য রেলের ডেপুটি চিফ সিগন্যাল অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ার কুশ গুপ্তা। ডব্লুএপি-৫ নামে একটি সেমি হাইস্পিড ইঞ্জিনে এই কবচ ব্রেকিং প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। পালওয়াল-মথুরা সেকশনে ১৬০ কিমি গতিতে ইঞ্জিন চলার সময় এটা ব্যবহার করা হয়েছিল।
আগ্রা রেল ডিভিশনের জনসংযোগ আধিকারিক প্রশস্তি শ্রীবাস্তব বলেন, চালককে বলে দেওয়া হয়েছিল লাল সিগন্যাল দেখলেও তিনি যেন ব্রেক না কষেন। আমরা দেখতে চেয়েছিলাম চালক ব্রেক না কষলে কবচ নিজে থেকে কাজ করে ট্রেন দাঁড় করিয়ে দেয় কি না। তিনি জানান, ইঞ্জিনিয়ার এবং আধিকারিকরা এই সফল পরীক্ষায় খুশি। কারণ লাল সিগন্যালের ৩০ মিটারের আগেই ট্রেন থেমে যায়। এছাড়াও নিরাপত্তার অন্যান্য মানক পরীক্ষাতেও পাশ করে গিয়েছে কবচ, বলেন তিনি।
যে ইঞ্জিনটিতে পরীক্ষা চালানো হয়েছিল সেটি ১৬০ কিমি বেগে যাত্রীবাহী ট্রেন নিয়ে যেতে পারে। শতাব্দী এবং গতিমান এক্সপ্রেসের মতো ট্রেনে এই ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তিনি আরও জানান, সকালে বৃন্দাবন থেকে ট্রেন ছাড়ে এবং দুপুরে হরিয়ানার পালওয়ালে শেষ হয়। আপ ও ডাউন দুই লাইনেই পরীক্ষা চালানো হয়েছে। এবারে যাত্রীবাহী ট্রেনে চূড়ান্ত পরীক্ষা চালানো হবে বলেও জানান শ্রীবাস্তব।
অন্য খবর দেখুন