লখনউ: আজম খানের বিধানসভার সদস্যপদ ফেরাবার দাবি তুললেন অখিলেশ যাদব (Akhilesh Yadav)। উত্তরপ্রদেশে বিজেপি সরকার (Uttar Pradesh BJP Govt) আজম খানের (Azam Khan) বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছিল, অভিযোগ অখিলেশের (Akhilesh Yadav)। সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশের অভিযোগ, একদল অফিসারও এই মিথ্যা মামলার সঙ্গে যুক্ত। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলেছেন মুলায়ম-পুত্র।
ক’দিন আগে সমাজবাদী পার্টির নেতা আজম খানকে নির্দোষ ঘোষণা করেছিল এমপি-এমএলএ আদালত। ২০১৯ সালে এক ভাষণকে কেন্দ্র করে আজম খানের বিরুদ্ধে ঘৃণা-ভাষণের অভিযোগ আনা হয়েছিল। ওই মামলায় ২০২২ সালের ২৭ অক্টোবর তিন বছরের সাজা দেয় রামপুরের নিম্ন আদালত। তিন বছরের কারাদণ্ড হওয়ায় তাঁর বিধায়ক পদ খারিজ হয়েছিল ২০২২-এর অক্টোবরে। ইতিমধ্যেই আজমের বিধানসভা আসন রামপুরে উপনির্বাচন হয়ে গিয়েছে। সমাজবাদী পার্টির প্রার্থীকে হারিয়ে সেখানে জিতেছে বিজেপি প্রার্থী আকাশ সাক্সেনা।
আরও পড়ুন: WTC Final | Ricky Ponting | টেস্ট বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতকে হারাতে পছন্দের দল বাছলেন রিকি পন্টিং
২০১৯ সালে রামপুরে একটি জনসভার থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে লক্ষ্য করে বিদ্বেষমূলক মন্তব্য করার অভিযোগ ওঠে আজম খানের বিরুদ্ধে। ওই ভাষণের অভিযোগে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল উত্তরপ্রদেশের রামপুর ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। ৩ বছর জেলের সাজা হওয়ায় বিধায়ক পদও খারিজ হয়েছিল। রামপুর আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল মামলায় এমপি এমএলএ আদালত নির্দোষ ঘোষণা করে আজমকে। আদালতের রায়ের পরই এবার কীভাবে আজমের বিধায়ক পদ ফেরানো যায় তা নিয়ে তৈরি হয়েছে আইনি জটিলতা। আমজ খানের জামিন লোকসভা ভোটের আগে সমাজবাদী পার্টির কাছে বাড়তি অ্যাডভান্টেজ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে মোদি পদবি নিয়ে মন্তব্যে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে মানহানি’র মামলা হয় গুজরাতের সুরাতের ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে। গত ওই মামলায় ২৩ মার্চ দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত। পরের দিনই লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা রাহুলের সাংসদপদ খারিজ