বুধবার ওড়িশার বালেশ্বরের ধামড়াতে আছড়ে পড়ে ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় যশ। এই ঘূর্ণিঝড়ে ওড়িশার পাশাপাশি ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বাংলার। সেই ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে শুক্রবার রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ওইদিন তিনি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কলাইকুণ্ডাতে আসতে পারেন বলে সূত্রের খবর। ষশের পাশাপাশি মঙ্গলবার রাত থেকে ভরা কোটালের কারণে প্রবল জলোচ্ছ্বাসে ডুবে গেছে বেশ কয়েকটি জেলার চাষের জমি, মাছের ভেড়ি সহ বাস্তু ভিটা। এরই মধ্যে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারগুলির কাছ থেকে এই বিষয়ে একটি প্রাথমিক রিপোর্টও সংগ্রহ করেছে কেন্দ্র। তারপরেই কলাইকুণ্ডাতে মুখ্যমন্ত্রী সহ শীর্ষ আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী বলে জান গিয়েছে।
সূত্রের তরফে আরও খবর মিলেছে যে, বৈঠকের পাশাপাশি মু্খ্যমন্ত্রীকে সঙ্গী করে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে যেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এরই মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ের মোকাবিলায় রাজ্যকে ৪০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র। সেখানে অগ্রিম বাবদ অন্ধ্রপ্রদেশ ও ওড়িশাকে ৬০০ কোটি টাকা করে দেওয়া হয়েছে। বন্টন বরাদ্দের এই বৈষম্য নিয়ে প্রকাশ্যেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই আশা করা যায় প্রধানমন্ত্রী পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার পরে এই বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য আরও অর্থ বরাদ্দ করতে পারেন।
অপরদিকে, পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রীর হিঙ্গলগঞ্জ, সাগর ও দীঘার দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করে প্রশাসনিক বৈঠক করার কথা ছিল। বুধবার নবান্নে সাংবাদিকদের কাছে মুখ্যমন্ত্রীর এই কর্মসূচির কথা জানিয়েছিলেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী আচমকাই রাজ্য সফরে চলে আসায় সেই পরিকল্পনা বদল হতে চলেছে। বৃহস্পতিবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই জানান তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যাবেন। তারপর সেখান থেকে তিনি দীঘা যাবেন। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষ করে দীঘায় যেতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। শুক্রবার রাতে দীঘায় প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান খতিয়ে দেখবেন তিনি। সেক্ষেত্রে শনিবার সকালে দীঘার বিপর্যস্ত এলাকা পরিদর্শনে যেতে পারেন মমতা।