কলকাতা: তিন ঘণ্টা পরেও নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি ট্যাংরার মেহের আলি লেনের আগুন৷ কারণ, এলাকায় জলের সংকট৷ যেখান থেকে জল নিয়ে দমকল কর্মীরা তা ব্যবহার করতে পারেন৷ পরে বাধ্য হয়ে দূরের একটা খাল ও কুয়ো থেকে জল তোলা হয়৷ স্থানীয়দের উদ্যোগে দমকলের ট্যাঙ্কারে জল ভরতে দেখা যায়৷ ঘরের বালতি, কন্টেনার, ড্রাম করে স্থানীয়রা দমকলের ট্যাঙ্কে জল ভরেন৷ সেই জল দিয়ে আগুন নেভানোর কাজ চলে৷
রাত আটটা নাগাদ ট্যাংরার মেহের আলি লেনে পৌঁছন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু৷ তাঁর গলাতেই অসহয়তা ধরা পড়ে৷ তিনি জানান, এলাকায় জলের উৎস না থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সময় লাগছে৷ পাশের খাল ও কুয়ো থেকে জল তোলার ব্যবস্থা করা হচ্ছে৷ দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হবে৷
দমকল আধিকারিকও জানান, এলাকা ঘিঞ্জি হওয়ায় ঘটনাস্থালের কাছে পৌঁছনো যায়নি৷ গলির ভিতরে দমকলের ইঞ্জিন প্রবেশ বাধা পায়৷ তারপরও যতটা সম্ভব চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া৷ এই আগুনের কারণে দমকলের তিন কর্মী গুরুতর আঘাত পেয়েছেন৷ তাঁদের উদ্ধার করে এনআরএস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷
স্থানীয়রা জানান, কারখানার মধ্যে ফোম-সহ নানান রকম দাহ্য পদার্থ থাকায় সঙ্গে সঙ্গে আগুন ছড়িয়ে পড়ে৷ দমকল পৌঁছতেও দেরি করে বলে তাঁদের অভিযোগ৷ যদিও তা অস্বীকার করেনস্থানীয় কাউন্সিলর জীবন সাহা৷ তিনি খবর পাওয়ার পরপরই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন৷ কাউন্সিলর জানান, ঘটনাস্থলের পাশের খাল থেকে জল তুলে ব্যবহারের চেষ্টা হচ্ছে৷ কিন্তু ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় কাজে বাধা প্রাপ্ত হচ্ছেন দমকল কর্মীরা৷
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আগুন ক্রমশ বাড়তে থাকে৷ গুদামের পাশের বাড়িতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে৷ গুদামের পাশে বস্তি৷ ফলে, সেখানেও আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে৷ ইতিমধ্যে, গুদাম সংলগ্ন এলাকার বাড়িগুলি খালি করা হয়েছে৷ যাতে কোনও রকম বিপদ না ঘটে৷এ দিকে আগুনের তাপে পাঁচিল ও চাল ভেঙে পড়েছে৷