কলকাতা: জলের উৎস না থাকা ও ঘিঞ্জি এলাকা, এই দুইয়ের কারণে আগুন নেভাতে দেরি ট্যাংরার মেহের আলি লেনে৷ ফলে, বিশাল এলাকাজুড়ে আগুন ছড়িয় পড়ে৷ কারণ, গুদামে বহু পরিমাণে দাহ্য পদার্থ ছিল৷ দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু জানিয়েছেন, গুদামে বেআইনি দাহ্য পদার্থ থাকলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷ মন্ত্রী ছাড়াও সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ও ঘটনা স্থলে যান৷ তিনি জানান, দমকল কর্মীরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন৷দাহ্য পদার্থ যারা মজুত করে রাখে তাঁরা বেআইনি কাজ করেন৷
জলের সংকট থাকায় পরিস্থিতি বুঝে স্থানীয়রা ঘরের বালতি, ড্রাম করে দমকলের ট্যাঙ্কারে জল ভরতে থাকেন৷ সেই জল দিয়ে আগুন নেভানোর কাজ চলে৷ সেই ছবি টুইট করে রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী৷ পাল্টা জবাবে দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু বলেন,পাগলের কথার উত্তর কী দেব৷ ঘরে বসে বিবৃতি দিলে কী হবে৷ যে নিজের ওয়ার্ডে হেরে যায় তাঁর কথায় কী উত্তর দেব৷
Egiye Bangla in disastrous Disaster Management.
Shame shame @MamataOfficial, The Fire & Emergency Services Department's efficiency has gone down during your tenure. https://t.co/ypUkgoFHUm— Suvendu Adhikari (Modi Ka Parivar) (@SuvenduWB) March 12, 2022
সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আগুল লাগার কারণটা দেখতে হবে৷ দমকল কর্মীরা জানেন তাঁদের সর্বশক্তি দিয়ে কাজ করত হবে৷ তাঁরা সেভাবেই কাজ করবেন৷ বেআইনি দাহ্য পদার্থ রাখলে উদাহরণ স্বরুপ শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে৷ দমকল মন্ত্রী যথাযথ যোগ্য৷ তিনি আগামিদিনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন৷
শনিবার সন্ধেয় ট্যাংরার মেহের আলি লেনের এক গুদামে আগুন লাগে৷ তিন ঘণ্টা পরেও নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি৷ কারণ, এলাকায় জলের সংকট৷ যেখান থেকে জল নিয়ে দমকল কর্মীরা তা ব্যবহার করতে পারেন৷ পরে বাধ্য হয়ে দূরের একটা খাল ও কুয়ো থেকে জল তোলা হয়৷ স্থানীয়দের উদ্যোগে দমকলের ট্যাঙ্কারে জল ভরতে দেখা যায়৷
আরও পড়ুন-Tangra Fire: ট্যাংরায় আগুন নেভাতে দেরি, বালতি করে দমকলের ট্যাঙ্কে জল ভরছেন স্থানীয়রা
রাত আটটা নাগাদ ট্যাংরার মেহের আলি লেনে পৌঁছন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু৷ তাঁর গলাতেই অসহয়তা ধরা পড়ে৷ তিনি জানান, এলাকায় জলের উৎস না থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সময় লাগছে৷ দমকল আধিকারিকও জানান, এলাকা ঘিঞ্জি হওয়ায় ঘটনাস্থালের কাছে পৌঁছনো যায়নি৷ গলির ভিতরে দমকলের ইঞ্জিন প্রবেশ বাধা পায়৷ তারপরও যতটা সম্ভব চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া৷ এই আগুনের কারণে দমকলের তিন কর্মী গুরুতর আঘাত পেয়েছেন৷ তাঁদের উদ্ধার করে এনআরএস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷