কলকাতা: যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে (Yuva Bharati Krirangan chaos) ‘মেসি–মেস’ (Leonel Messi Kolkata Tour) এর তদন্তে গঠিত রাজ্য সরকারের সিটের (SIT investigation) তদন্ত যত এগোচ্ছে ততই ক্রমেই জটিল আকার নিচ্ছে। ভিড় নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা থেকে শুরু করে টিকিট বিক্রির প্রক্রিয়া ও আর্থিক লেনদেন- সব দিক খতিয়ে দেখছে তদন্তকারী দল সিট (SIT investigation)। এবার অনলাইন টিকিট বিক্রির সঙ্গে যুক্ত সংস্থার সিইও-সহ ম্যানেজার ও ডিরেক্টরকে দিল্লি থেকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। দীর্ঘ সময় ধরে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দিল্লি থেকে কলকাতায় এসে সিটের সামনে হাজির হন ওই তিন কর্তা। তাঁদের কাছে মূলত জানতে চাওয়া হয়েছে, অনলাইন টিকিট সংক্রান্ত সমস্যার নেপথ্যে কারা যুক্ত ছিলেন। পাশাপাশি বড় অঙ্কে টিকিট কারা কিনেছিলেন, সেই টিকিট কারা কারা নিয়ে ছিল সেই তালিকাও তদন্তকারীরা চেয়েছেন। এছাড়া কোনও প্রভাবশালী নেতা বা মন্ত্রীর তরফে টিকিটের জন্য চাপ দেওয়া হয়েছিল কি না, সেই বিষয়েও প্রশ্ন করা হয়েছে বলে জানা যায়।
আরও পড়ুন: কালই BLO’দের নিয়ে নেতাজি ইন্ডোরে বৈঠক মমতার, পাল্টা প্রস্তুতি শুভেন্দুরও
কলকাতার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে মেসির অনুষ্ঠান ঘিরে যে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছিল, তার রেশ এখনও অব্যাহত। এই ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া উদ্যোক্তা শতদ্রু দত্তকে জেরা করে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। যুবভারতীর সেই বিশৃঙ্খলা কেন তৈরি হয়েছিল, তা নিয়ে এবার মুখ খুললেন শতদ্রু নিজেই। সূত্রের খবর, জেরার সময় শতদ্রু দত্ত তদন্তকারীদের জানিয়েছেন, প্রভাবশালী এক নেতার নির্দেশে পাসের সংখ্যা তিনগুণ বাড়ানো হয়েছিল। বয়ানে শতদ্রু আরও জানান, যুবভারতীতে পৌঁছনোর পরে ৭০-৮০ জন মানুষ মেসিকে ঘিরে ধরেন। সেই ভিড়ে ছিলেন মূলত মন্ত্রী ও ক্লাবকর্তারা। এক সময়ে পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে, মাঠের ভিতরে লোকজনের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কির অবস্থা তৈরি হয়। বিষয়টি মেসিরও পছন্দ হয়নি।