কলকাতা: করোনার কারণে গত বছরে দুর্গাপুজোর উৎসব করা যায়নি। আশা ছিল চলতি বছরে কেটে যাবে করোনার কালো মেঘ। যদিও উৎসবের মরশুমে সবধানে চলার সতর্কতা দিয়েছিল কেন্দ্র। এই অবস্থায় পশ্চিমবঙ্গে দুর্গা পুজো নিয়ে নির্দেশিকা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
চলতি বছরে শক্তি বাড়িয়ে ভারতের মাটিতে আছড়ে পড়েছিল করোন্র দ্বিতীয় ঢেউ। একটু অসাবধান হলেই ফের জাঁকিয়ে বসতে পারে করোনার তৃতীয় ঢেউ। এমনই জানিয়েছন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ। সেই সতর্কতা মাথায় রেখে করোনা সংক্রান্ত যাবতীয় বিধি মেনে পুজোর আয়োজন করার নির্দে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন- স্বামীর ফোন বন্ধ কেন? বেহালার জোড়া খুনে রহস্যের জট খোলার চেষ্টা করল কলকাতা টিভি ডিজিটাল
পুজো মানে ঠাকুর দেখা, প্যান্ডেলে ঘোরা। আর সেই আনন্দ সকলের সঙ্গে মিলে ভাগ করে নেওয়া। খুব স্বাভাবিকভাবেই সেই আনন্দ থেকে এই বছরেও বঞ্চিত থাকবে বাঙালি। প্যান্ডেলে না গিয়ে অনেকে রাত্রে ঘুরতে পছন্দ করেন। এই বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছে রজ্য সরকার। তবে এখনই চূড়ান্ত কিছু জানাননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, “পুজোর সময়ে নাইট কার্ফু শিথিল করা বা বন্ধ রাখা যায় কিন সেই বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
মঙ্গলবার বিকেলের দিকে পুজো নিয়ে রাজ্য সরকারের পরিকল্পনার কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী। গত বছরের মতো এবারেও পুজো কমিটিগুলিকে ৫০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন তিনি। সেই সঙ্গে উদ্যোক্তাদের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেছেন, “নিচিন্তে করোনাবিধি মেনে পুজো করুন। মণ্ডপে মাস্ক এবং স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখবেন।”
আরও পড়ুন- ব্রাহ্মণদের বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য, ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রীর বাবার ১৫ দিন বিচার বিভাগীয় হেফাজত
আগামী মাসের ১২ তারিখ দুর্গাপুজোর সপ্তমী, ১৫ তারিখ দশমী। ওই ১৫ তারিখ থেকে ১৮ তারিখের মধ্যে বিসর্জন দেওয়া যাবে প্রতিমা। তবে এই বছরে ক্রণিভালের আয়োজন করা হবে কিনা সেই বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা।