কলকাতা: লখিমপুরে হিংসার ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বিকেলে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বলেন, মানবাধিকারের সর্বনাশ করছে বিজেপি। লখিমপুরের ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক। নিন্দা জানানোর ভাষা নেই।
আবীররঞ্জন বিশ্বাস, দোলা সেন, সুস্মিতা দেব সহ সোমবার তৃণমূলের পাঁচ সাংসদের প্রতিনিধি দল লখিমপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দিলেও তাঁদের আটকে দেয় যোগী সরকার। এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রতিনিধি দলকে আটকানো হয়েছে। এই সরকার সব জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি করে। এরকম সরকারের জন্য জনসাধারণেরও ১৪৪ ধারা জারি করা উচিত। এর আগে ১৪৪ ধারা জারি করে আমাদের হাথরস, অসম, ত্রিপুরাতে আটকানো হয়েছিল।
আরও পড়ুন: মমতার শপথ ঘিরে জটিলতা, রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত
যোগী সরকার এবং বিজেপিকে একহাত নেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তাঁর কথায়, লখিমপুরে যা হয়েছে তা অমানবিক, দুর্ভাগ্যজনক। নির্মমভাবে কৃষকদের হত্যা করা হয়েছে। আমাদের এখানে কিছু হলেই মানিবাধিকার কমিশন পাঠায়। অথচ ওখানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছেলে গাড়ি চাপা দিয়ে মানুষ মারলেও কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয় না। গণতন্ত্র নয়, বিজেপি ওখানে একনায়কতন্ত্র চালাচ্ছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই আমাদের প্রতিনিধিদল ওখানে যাবে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্র এবং উত্তরপ্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী কেশব মৌর্য একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে রবিবার লখিমপুর যান৷ তাঁদের আসার আগে কৃষকরা সেখানে জমায়েত শুরু করেন৷ আন্দোলনকারীরা কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা ছাড়াও মন্ত্রীদের কালো পতাকা দেখাতে চেয়েছিলেন৷ সেই সময় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর কনভয়ের একটি গাড়ি কৃষকদের উপর দিয়ে চলে যায়৷ তাতে দুই কৃষকের মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: আর আঞ্চলিক নন, মমতা এখন জাতীয় রাজনীতির অন্যতম নিয়ন্ত্রক, বুঝিয়ে দিল ভবানীপুর
এর পরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন কৃষকরা৷ একাধিক গাড়ি ভাঙচুরের পর আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়৷ পুলিশ জানিয়েছে, সংঘর্ষ এবং গাড়ি চাপা পড়ে মোট আট জনের মৃত্যু হয়েছে৷ তাঁদের মধ্যে চার জন কৃষক৷ এই ঘটনায় দেশ জুড়ে আলোড়ন পড়ে যায়৷ কৃষকদের সমর্থনে তাদের পাশে থাকার বার্তা দেন বিরোধীরা৷ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্রের দাবি করেছেন, তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মিথ্যে।