কলকাতা: কোভিডের চিকিৎসার জন্য ২৯ দিন ফর্টিস হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন এক রোগী। তাতেই বিল হয়েছে ২৩ লক্ষ ৬৪ হাজার টাকা। এই কারণে রাজ্য স্বাস্থ্য কমিশনের দ্বারস্থ হন ব্যারাকপুরের ৫২ বছর বয়সি ডালিয়া গোস্বামী।
গত বছরের ১৯মে, কোমর্বিডিটির সঙ্গে করোনা আক্রান্ত হয়ে বাইপাসের ধারে ফর্টিস হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ওই রোগী। ২৯ দিন পর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান তিনি। কিন্তু বিল দেখে তাঁর চক্ষু চড়কগাছ। এত টাকার বিল তিনি দেবেন কী করে ? রাজ্য স্বাস্থ্য কমিশন আজ শুনানি শেষে ফর্টিস হাসপাতালকে দু লক্ষ টাকা ফেরতের নির্দেশ দিয়েছে রোগীর পরিবারকে। সেই সঙ্গে এর আগে চার বার ওই হাসপাতালকে সতর্ক করার পরও মাত্রাতিরিক্ত বিল করার জন্য ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে স্বাস্থ্য কমিশন। একথা জানিয়েছেন কমিশনের চেয়ারম্যান প্রাক্তন বিচারপতি অসীম বন্দ্যোপাধ্যায়। মামলার শুনানি শেষে তিনি এই বিল নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেন।
অসীম বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, হাসপাতালের এই বিলের মধ্যে ১০ লক্ষ টাকা শুধু ওষুধের জন্য খরচ হয়েছে। সাড়ে চার লক্ষ টাকার বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং দু লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে কনজিউমিবলসে। বায়ো ফায়ার নামে অত্যন্ত খরচসাপেক্ষ একটি পরীক্ষা পরিবারের অনুমতি না নিয়েই করা হয়েছে। এমনকী বায়োগ্যাস প্রয়োজন ছাড়াই দিনে চারবার করে ব্যবহার করা হয়েছে। কমিশনের অ্যডভাইসরি না মানায় হাসপাতালকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে স্বাস্থ্য কমিশন। সেই সঙ্গে বিলের ৪০ শতাংশ টাকা জমা দিতে হয়েছিল পরিবারকে কারণ তাঁদের মেডিক্লেম ছিল। রোগীর পরিবার যে টাকা জমা দিয়েছে, সেখান থেকে তাঁদের হিসেব করে দু লক্ষ টাকা ফেরত দিতে নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। রোগীর পরিবারের আবেদন, তাঁদের বাড়ির মেয়ের বিয়ে রয়েছে। কিন্তু তাঁদের টাকা পয়সা শেষ হয়ে গিয়েছে। তাই বিশেষ ঘটনা হিসাবে জরিমানার টাকা যা স্বাস্থ্য কমিশনে জমা দেওয়ার কথা, তা পরিবারকে দিতে বলেছে কমিশন।