কলকাতা : নিউ নর্মাল পরিস্থিতিতে কীভাবে পড়ুয়াদের হাতে-কলমে কাজ শেখানো যায় তা নিয়ে নতুন করে ভাবনা চিন্তা শুরু করেছে রাজ্য সরকার। অনলাইন শিক্ষা ব্যবস্থায় পড়ুয়াদের জ্ঞান বাড়লেও দক্ষতা সেভাবে বাড়ে না। জানালেন কারিগরি শিক্ষামন্ত্রী হুমায়ুন কবীর।
করোনা ভাইরাসের কারণে স্কুলের পঠনপাঠন বন্ধ। গৃহবন্দি জীবনে পড়ুয়াদের পড়ার অভ্যাস চালু রাখতেই পড়াচ্ছেন শিক্ষকেরা। সামনে কম্পিউটার খোলা বা মোবাইল। এক প্রান্তে শিক্ষক, অন্য প্রান্তে পড়ুয়া। আধুনিক শিক্ষার একটা বড় অংশ এখন অনলাইন শিক্ষার দিকে ঝুঁকছে। এক শহর থেকে আরএক শহর, এক রাজ্য থেকে আরএক রাজ্যে, এক দেশ থেকে আরএক দেশে রমরমিয়ে চলছে অনলাইন এডুকেশন সিস্টেম।
ক্লাসরুমে শিক্ষক পড়ুয়াদের মন বুঝতে পারেন।একভাবে বুঝতে না পারলে অন্যভাবে বুঝিয়ে দেওয়ার সুযোগ পান। শিক্ষক-পড়ুয়ার সুসম্পর্ক তৈরি হয়। যা কখনওই অনলাইনে সম্ভব নয়। ক্লাসরুম শিক্ষার সেই ধারাকে কখনওই অবহেলা করা যায় না।
আরও পড়ুন : বাবুদের টিকিও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, গোসাবা থেকে বিজেপিকে কটাক্ষ অভিষেকের
রাজ্যে বৃত্তিমূলক ও কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্থায় ৭৫ শতাংশ হাতে-কলমে কাজ শেখার ব্যবস্থা রয়েছে।নির্দিষ্ট ওয়ার্কশপ ও ল্যাবরেটরীতে পড়ুয়াদের কাজ শেখানো হয়। কিন্তু অতিমারিতে বন্ধ সবই। ভরসা শুধুমাত্র অনলাইন শিক্ষা ব্যবস্থায়। উৎকর্ষ বাংলা প্রকল্প যে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে তাতেও বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে করোনা। তাই ভার্চুয়াল ব্যবস্থার পাশাপাশি সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে, করোনা বিধি মেনে কীভাবে বৃত্তিমূলক ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করছেন বিভিন্ন কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা।