এখন আর ক্ষমতা প্রদর্শন নয়। দেশের সাধারণ মানুষের কথা ভাবতে শুরু করেছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন (Kim Jong Un)। ২০১১ সালে বাবার মৃত্যুর পর কিম দেশের নেতৃত্বভার গ্রহণ করেন। তাঁর নেতৃত্ব গ্রহণের ১০ বছর পূর্তি উপলক্ষে কোরিয়ার ওয়ার্কার্স পার্টির অষ্টম সেন্ট্রাল কমিটি প্লেনারি বৈঠক ডাকা হয়। শুক্রবার ছিল এই বৈঠকের শেষ দিন। তাঁর ভাষণে আমেরিকার কথা ছিল না, ছিল না পারমাণবিক অস্ত্র নিয়েও কোনও কথা। বরং দেশের অর্থনীতির বেহাল অবস্থার কথাই বেশি করে ভাষণে তুলে ধরেন উত্তর কোরিয়ার সর্বাধিনায়ক। দেশে ট্রাক্টর কারখানা তৈরি এবং ছাত্রছাত্রীদের স্কুল ইউনিফর্মের কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
কিম জানান, ২০২২ সালে উত্তর কোরিয়ার মূল লক্ষ্য হবে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটানো এবং মানুষের জীবনযাত্রার উন্নতির জন্য কাজ করা। করোনা পরিস্থিতিতে অন্য সব রাষ্ট্রের মতো উত্তর কোরিয়াতেও লকডাউন জারি করে সরকার। সীমান্ত যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়। বিশ্বের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ভেঙে পড়ে দেশের অর্থনীতি। সেই সময় থেকেই দেশে খাদ্যসংকট দেখা দেয়। এই পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য স্বৈরাচারী শাসক কিমের এখন প্রধান লক্ষ্য হয়ে উঠেছে দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করা। গ্রামীণ উন্নয়নের ক্ষেত্রেও জোর দিয়েছেন কিম। এক্ষেত্রে একাধিক পরিকল্পনার কথা জানান তিনি। সেই সঙ্গে দেশের কৃষিকাজ এবং ছাত্রছাত্রীদের স্কুলে যাওয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলির উপর জোর দিয়েছেন তিনি। এখন কোনও রাজনীতি বা কূটনৈতিক আলোচনা চাইছেন না কিম। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, আপাতত ‘অরাজনৈতিক চর্চা’ বন্ধ রাখা প্রয়োজন।
আরও পড়ুন : Kim Jong Un: কিমের দেশে হাসতে মানা দিন দশেকের তরে