কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: কোথায় রয়েছেন তালিবান সুপ্রিমো হায়াতবুল্লা আখুন্দজাদা? বেশ কিছু তথ্য ইতিমধ্যেই হাতে এসেছে ভারতের। যার প্রেক্ষিতে নয়াদিল্লি মনে করছে হায়াতবুল্লা আখুন্দজাদা হয়ত পাকিস্তানেই বন্দি রয়েছেন। সেই জন্যই আফগানিস্তানে তালিবান নেতাদের সঙ্গে গত ছয় মাস তাঁকে দেখা যাচ্ছে না। যদিও গত মে মাসে ইদের সময় রমজান শেষ করার আহ্বান জানিয়ে একটি বক্তৃতা দিতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। পাকিস্তান কীভাবে এবার বিষয়টিকে সামলায় তা দেখতে যথেষ্টই আগ্রহী ভারত।
উল্লেখ্য, প্রাক্তণ তালিবান সুপ্রিমো আখতার মনসুরের মৃত্যুর পর ২০১৬ সালে তালিবানের সুপ্রিমো হন হায়াতবুল্লা ।
উল্লেখ্য, প্রাক্তণ তালিবান সুপ্রিমো আখতার মনসুরের মৃত্যুর পর ২০১৬ সালে তালিবানের সুপ্রিমো হন হায়াতবুল্লা। মনসুরের অন্যতন ডেপুটি হল এই হায়াতবুল্লা আখুন্দজাদা। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর,বর্তমানে হায়াতবুল্লার বয়স ৫০। আল কায়দা নেতা আলজওয়া হিরিরও ঘনিষ্ট ছিলেন হায়াতবুল্লা। আফগানিস্তানে তালিবানি সাম্রাজ্যের প্রসারের জন্য ‘আমির আল মুমিমিন’ উপাধিতেও আখ্যায়িত হয়েছিলেন তিনি। আফগানিস্তানে তালিবান রাজত্বকালে সাতজন সর্বাধিক প্রভাবশালী নেতাদের মধ্যে একজন ছিলেন হায়াতবুল্লা।
যদিও গোয়েন্দা সূত্রে খবর ইতিমধ্যেই আফগানিস্তানে তালিবানদের সঙ্গে হাত মেলাতে শুরু করেছে পাকিস্তানি সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠি লস্কর-ই-তৈবা ও জঈশ-ই-মহম্মদ। আর এই খবর আসতেই কপালে ভাঁজ পড়েছে সাউথ ব্লকের।
যদিও ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানকে আফগান জমি ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছিলেন তালিবান মুখপাত্র সুহেল সাহিন। কিন্তু নব্বইয়ের কথা মাথায় রেখে সেই আশ্বাসে বিশ্বাস করতে রাজি নয় নয়াদিল্লি। কারণ দুদশক আগে আফগানিস্তানে তালিবান রাজত্বে কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদী সমস্যার হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছিল ভারত
তবে এবার হায়াতবুল্লা ইস্যুতে পাকিস্তান কিভাবে কাবুলের তালিবানদের সঙ্গে সমঝোতা করে তা দেখতে পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে নয়াদিল্লি।