কাবুল: পরনে কালো বোরখা। কারও মুখ ঢাকা আকাশি হিজাবে। কেউ আবার মাথা ঢেকেছে দুধসাদা চাদরে। প্রত্যেকের হাতে পোস্টার। পায়ে পায়ে দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর সে মিছিল। স্লোগান তীব্র থেকে তীব্রতর। মিছিলের (Taliban Restriction) আগেপিছে সশস্ত্র পুলিস। পুলিসের পোশাকই চিনিয়ে দেয় অস্ত্রধারীরা তালিবান। কিন্তু, সেই অস্ত্রের মুখে ভীত নয় মিছিলে পা মেলানো কয়েক’শো কিশোরী কণ্ঠ। ভাষা যা-ই হোক, প্রতিবাদী সে কণ্ঠস্বরের ভাষা ঠাওর করতে অসুবিধা হয় না। এই প্রতিবাদ মেয়েদের শিক্ষায় তালিবানদের অবাঞ্ছিত হস্তক্ষেপের (Taliban Ban Women’s Education) বিরুদ্ধে। কাবুলে শিক্ষামন্ত্রকের সামনে চলে এই ধরনা-বিক্ষোভ।
তালিবান শাসিত আফগানিস্তানের শিক্ষামন্ত্রক ২৫ মার্চ ফতোয়া জারি করে মেয়েদের মাধ্যমিক স্কুল বন্ধ করে দিয়েছে। কাবুল-সহ গোটা আফগানিস্তানে সমস্ত সেকেন্ডারি স্কুল বন্ধ। তালিবানি ফতোয়ায় বলা হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না-দেওয়া পর্যন্ত মেয়েদের সেকেন্ডারি স্কুল বন্ধ থাকবে। তালিবানদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে এই ফতোয়ার বিরোধিতায় সোমবার পথে নামে (Afghanistan Girls Protest) ছাত্রীরা।
শিক্ষাক্ষেত্রে এই তালিবানি ফতোয়ার (Taliban Restriction) বিরোধিতা করে মালালা ইউসুফজাই বলেন, ‘আফগানিস্তানে নারীশিক্ষায় তালেবানি নিষেধাজ্ঞা দীর্ঘস্থায়ী হবে না। আফগান মেয়েরা জানে, ক্ষমতায়নের মানে কী। তাই মেয়েদের শিক্ষা স্থায়ী ভাবে বন্ধ করতে পারবে না তালিবানরা।’
আরও পড়ুন: Taliban Restriction: আফগান মহিলারা একা বিমান সফর করতে পারবেন না, নয়া তালিবানি ফতোয়া
মালালা মনে করেন, ‘১৯৯৬ সালে নারীশিক্ষায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ তুলনামূলক সহজ ছিল। কিন্তু বর্তমান সময়ে তালিবানদের পক্ষে এই ফতোয়া দীর্ঘদিন জারি রাখা কঠিন।’
এর আগে ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত আফগানিস্তানে ক্ষমতায় থাকার সময়েও মেয়েদের পড়াশোনা বন্ধ করে দিয়েছিল তালিবানরা।