কলকাতা: ব্রহ্মাণ্ডে পৃথিবীর মতো বাসযোগ্য স্থান আর আছে কি না তা নিয়ে নিরন্তর খোঁজ চালিয়ে যাচ্ছেন মহাকাশ বিজ্ঞানীরা। আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা (NASA) জানিয়েছে, খুঁজে পাওয়া গিয়েছে এক ‘সুপার-আর্থ’ (Super Earth) যেখানকার পরিবেশ প্রাণের সঞ্চারের সহায়ক। ১৩৭ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত এই সুপার-আর্থের নাম দেওয়া হয়েছে TOI-715 b।
নাসার বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, টিওআই-৭১৫ বি আকারে পৃথিবীর দেড়গুণ। এক রেড ডোয়ার্ফকে (Red Dwarf) প্রদক্ষিণ করছে সে। নক্ষত্রটি থেকে তার দূরত্বই তার বাসযোগ্য হওয়ার কারণ। বিজ্ঞানীদের ধারণা ওই ‘সৌরজগতে’ পৃথিবীর আকারের গ্রহও থাকতে পারে। সুপার আর্থটি তার ‘সূর্য’ থেকে এমন দূরত্বে অবস্থান করছে যাতে সে না অত্যধিক গরম, না চরম ঠান্ডা। এই কারণে তার উপরিভাগে তরল জল (Liquid Water) থাকতে পারে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। নাসা এও জানিয়েছে, তার নক্ষত্রকে একবার প্রদক্ষিণ করতে গ্রহটির ১৯ দিন সময় লাগে।
আরও পড়ুন: জীবনসঙ্গী খুঁজতে ব্যবহার হচ্ছে AI প্রযুক্তি
Discovery Alert!
A super-Earth ripe for further investigation orbits a small, reddish star that is, at least by astronomical standards, fairly close to us – only 137 light-years away. The same system also might have a secret: a second, Earth-sized planet! https://t.co/AaZYo7efNY pic.twitter.com/898Dj762Wo— NASA Exoplanets (@NASAExoplanets) February 1, 2024
প্রাণের সঞ্চারে শুধু জল থাকাই যথেষ্ট নয়, উপযুক্ত বায়ুমণ্ডলও অত্যাবশ্যক। নাসা জানিয়েছে, এই সুপার আর্থ সেদিক থেকেও ভাগ্যবান হতে পারে। এমনকী আরকটি ছোট যে গ্রহের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে, যা আকারে পৃথিবীর থেকে সামান্য বড়, সেটিও সম্ভবত বাসযোগ্য দূরত্বতেই অবস্থান করছে।
যে রেড ডোয়ার্ফকে এরা প্রদক্ষিণ করছে তা আকারে সূর্যের থেকে ছোট এবং উত্তাপও অনেক কম। এই ধরনের রেড ডোয়ার্ফকে ঘিরে পাক খায় বহু ছোট বড় পাথুরে জগত। উত্তাপ কম হওয়ার কারণেই অনেক কাছে থাকা সত্ত্বেও তারা বাসযোগ্য এলাকায় থেকে যায়।
দেখুন অন্য খবর: