কাবুল: চীন আমাদের ‘সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ সঙ্গী’ আফগানিস্তানের বিপুল ভান্ডার থেকে তামা উত্তোলনে উদ্যেগী হয়েছে চীন। যুদ্ধ বিধ্বস্ত আফগানিস্তানে এই অর্থনৈতিক কর্মকান্ড আর্থিক দিক থেকে দেশটিকে ঘুরে দাঁড়াতে কিছুটা মদত জোগাবে। শুক্রবার এমনটাই জানানো হয় তালিবানের পক্ষ থেকে। মুখপাত্র জবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেন, চীনের বহুচর্চিত ‘ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড’ প্রকল্পকে সমর্থন করছে তালিবান। বৃহস্পতিবার ইতালির একটি সংবাদমাধ্যমে এমনটাই জানিয়েছেন তালিবান মুখপাত্র।
তিনি আরও বলেন, আফগানিস্তানের বিপুল তামার ভান্ডার রয়েছে। সেই খনিজ উত্তোলনের জন্য ইতিমধ্যেই আগ্রহ প্রকাশ করেছে বেজিং। তারজন্য জিংপিং প্রশাসনকে ধন্যবাদও জানান তালিবান মুখপাত্র জবিউল্লাহ। গত মঙ্গলবার চীনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন জানিয়েছিলেন, তালিবান নিয়ন্ত্রিত আফগানিস্তানে ‘নাক গলানো’ বেজিংয়ের লক্ষ্যে না। বরং আফগান নাগরিকদের উন্নয়নের স্বার্থেই বেজিং কাজ করবে বলে জানিয়েছিলেন তিনি।
চীনের পাশাপাশি রাশিয়াকেও ‘গুরুত্বপূর্ণ সঙ্গী’ বলে দাবি করেছে কট্টরপন্থী ইসলামিক গোষ্ঠীটি। আগামীদিনে মস্কোর সঙ্গেও সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলার ইঙ্গিত দেওয়া হয় তাঁদের তরফে।
আরও পড়ুন: কাশ্মীরের মুসলিমদের জন্য কথা বলার ‘অধিকার’ রয়েছে, দাবি তালিবানের
উল্লেখ্য, আফগানিস্তানে তালিবানের উত্থানকে পাকিস্তান ছাড়া সর্বপ্রথম স্বীকৃতি দিয়েছিল চীন। শুধু তাই নয়, ইসলামিক আমিরাত প্রতিষ্ঠা হলে আফগানিস্তানে বিনিয়োগ করা হবে বলেও আশ্বাস দেওয়া হয় বেজিংয়ের তরফে।
আরও পড়ুন: আফগানিস্তানে নয়া সরকারের প্রধান মোল্লা বরাদর
সম্প্রতি আন্তর্জাতিক রেটিং সংস্থা ফিচ জানায়, যুদ্ধ বিধ্বস্ত অর্থনীতি সাজিয়ে তুলতে আগামী দিনে বিদেশী বিনিয়োগ প্রয়োজন আফগানিস্তানের। এমন পরিস্থিতিতে বাড়ছে আফগানিস্তানে অর্থের চাহিদা। সার্বিক পরিকাঠামোর উন্নয়নে ১০ বিলিয়ন ডলার জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজন দেশটির। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক রেটিং সংস্থা ফিচের রিপোর্টে এমনটাই উঠে এসেছে। সেই ক্ষেত্রে চীনের মতো বিপুল ‘অর্থনৈতিক জায়ান্ট’র পাশে থাকা তালিবানদের কূটনৈতিক জোর আরও বাড়াবে বলেই মনে করছে আন্তর্জাতিকমহল।