কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক : বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রভাব। কোথাও অতিবৃষ্টি তো কোথাও খরা। আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় মার খাচ্ছে কৃষিকাজও। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তাইওয়ানের চা বাগান। চা-শিল্প। ২০২০ সালে প্রবল খড়ার মুখে পড়েছিল তাইওয়ান। যার সরাসরি প্রভাব পড়েছিল চা চাষে।
২০২১-এ একেবারে উলাটপুরান। অতিবৃষ্টিতে ফের তছনছ চা বাগান। এই অবস্থায় দুর্দশায়, কষ্টে তাইওয়ানের চা বাগানের সঙ্গে জড়িত শ্রমিক ও ব্যবসায়ীরা। আবহাওয়ার প্রতিকূলতার সঙ্গে কীভাবে মানিয়ে ওঠা যাবে তা নিয়ে চিন্তায় তারা।
আরও পড়ুন : সপ্তাহ শেষে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দক্ষিণবঙ্গে
অতিবৃষ্টিতে চা শিল্পের প্রচুর ক্ষতি হয়েছে।অধিকাংশ বাগানে জল জমে পাতা নষ্ট। জলের তলায় শ্রমিকদের ঘরবাড়ি। চায়ের পাতারও ক্ষতি হয়েছে বেশ কিছু বাগানে। টানা বৃষ্টির জেরে চায়ের উৎপাদনও স্বাভাবিকের তুলনায় অনেকটা কমেছে। বাজারে চায়ের উৎপাদন কম হওয়ায় বাড়ছে চায়ের দাম। বড় ধরনের সংকটের মুখে চা-শিল্প। জানুয়ারি থেকে নভেম্বর চায়ের মরসুম। এই সময় উৎপাদন মার খেলে তার প্রভাব সুদূরপ্রসারী হয়। অঝোরে বৃষ্টির দোসর আরও কিছু সমস্যাও।ড্রেজিং না হওয়ায় সংলগ্ন এলাকার পলি জমে অধিকাংশ নদীতলের উচ্চতা বেড়েছে। নদীর জল বহনের ক্ষমতা কমায় বৃষ্টির জল উপচে ডুবিয়ে দিয়েছে সংলগ্ন এলাকা। শেষ পর্যন্ত কী হয় তা নিয়ে চিন্তায় চা শ্রমিকরা।