ব্রাজিল: রক্তক্ষয়ী ব্রাজিল। রাজধানী শহর রিও ডি জেনেরোতে পুলিসের সঙ্গে দাগী সমাজবিরোধীদের সংঘর্ষে মৃত্যু হল ১৮ জনের। দেশের সামরিক পুলিস জানিয়েছে, শহরের একটি ঘন বসতিপূর্ণ বস্তিতে ওই অপরাধীরা ঘাঁটি গেড়েছিল। তারা বস্তির দখলদারি কায়েম রাখতেই সেখানে হানা দেয়। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে আলেমাও কমপ্লেক্সের ওই বস্তিতে হানা দেয়। সেই সময় পুলিস সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে তাদের। দুপক্ষের মধ্যে ব্যাপক গুলির লড়াই চলে। তাতেই মৃত্যু হয় ওই ১৮ জনের। মৃতদের মধ্যে এক পুলিস অফিসারও রয়েছেন। এছাড়া মৃত্যু হয়েছে পথচলতি এক মহিলার।
পুলিস জানায়, এই দলটি শহরের ত্রাস বলে পরিচিত। জাহাজ থেকে পণ্য চুরি করা, ব্যাঙ্ক ডাকাতির মতো একাধিক অপরপাধে জড়িত এই দলের সদস্যরা। সামরিক পুলিসের দাবি, সাম্প্রতিককালে ব্রাজিলে এ ধরনের পুলিসি অপারেশন ঘটেনি। অভিযানে প্রায় ৪০০ পুলিস কর্মী, চারটি বিমান এবং ১০টি সাঁজোয়া গাড়ি নামানো হয়। এই ঘটনায় মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে বলে দেশের পাবলিক ডিফেন্ডার অফিস এক বিবৃতিতে দাবি করেছে। তাদের মতে, এই অভিযান সাম্প্রতিক অতীতের সবচেয়ে বড় ঘটনা। মৃতের সংখ্যা আরও বৃদ্ধির আশঙ্কা করা হয়েছে। সামরিক পুলিস অবশ্য এ সম্পর্কে কোনও মন্তব্য করেনি।
আরও পড়ুন: NDTV: স্যাটের রায়ে স্বস্তি এনডিটিভির
ব্রাজিলের পুলিস নিয়মিত রিও শহরের বিভিন্ন বস্তিতে সমাজবিরোধীদের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান চালায়। প্রেসিডেন্ট জাইরে বলসোনারোর পরিষ্কার সংগঠিত অপরাধীদের বিরুদ্ধে পুলিসকে নিয়মিত অভিযান চালাতে হবে। সেই নির্দেশ মতোই বৃহস্পতিবার অভিযান চালানো হয়। তাঁর আরও মন্তব্য, সমাজবিরোধীদের আরশোলার মতো মরতে হবে।
আরও পড়ুন: লোকসভায় জন্ম নিয়ন্ত্রণ বিল পেশ করলেন চার সন্তানের বাবা রবি কিষান
অভিযানের পর দেখা যায়, স্থানীয়রা জখম ব্যক্তিদের একের পর এক গাড়িতে তুলে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করছে। অ্যানাক্রিম হিউম্যান রাইটস কমিশনের কর্তা গিলবার্তো সান্তিয়াগো লোপেজ বলেন, পুলিসের এই নৃশংসতা অবর্ণনীয়। কাউকে গ্রেফতার করার ইচ্ছেই ছিল না পুলিসের। একমাত্র লক্ষ্য ছিল গুলি করে মারা। এমনকী আহতদের হাসপাতালে পাঠানোর ব্যাপারেও পুলিসকে সক্রিয় হতে দেখা যায়নি। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, পুলিসের ভাবখানা এমন ছিল, যেন আহতরা মরলেই ভালো হয়। স্থানীয়রা পরে পুলিসের বিরুদ্ধে বিক্ষোভও দেখান।