কলকাতা: ষষ্ঠী থেকে অষ্টমী পর্যন্ত উত্তোরত্তর কলকাতা,উত্তর ২৪ পরগণা সহ গোটা রাজ্যে দৈনিক করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে৷ বেড়েছে সংক্রমণ বৃদ্ধির হার৷ কিন্তু, ১৪ অক্টোবর বৃহস্পতিবার নবমীতে দৈনিক করোনা সংক্রমণ অনেকটাই কমেছে৷ তবে, সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পেয়েছে৷ তাই, দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা কম থাকলেও উদ্বেগ থেকে যাচ্ছে৷
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের বুধবারের বুলেটিনে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্য জুড়ে ২৮ হাজার ১৮৭ জনের লালা নমুনার করোনা পরীক্ষা করা হয়েছিল৷ তাতে ৭৭১ জনের করোনা সংক্রমণের খবর পাওয়া যায়৷ সংক্রমণ বৃদ্ধির হার ২.৭৪ শতাংশ ছিল৷ কিন্তু, বৃহস্পতিবারের বুলেটিনে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা কমেছে৷ ১৮ হাজার ১১৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়৷ তাতে রাজ্যজুড়ে ৫৩০ জনের নতুন করে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে৷ আর সংক্রমণ বৃদ্ধির হার বৃদ্ধি পেয়ে ২.৯৩ শতাংশ দাঁড়িয়েছে৷
আরও পড়ুন-গণধর্ষণ মামলায় ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত অন্তর্বর্তী জামিন পেলেন বিজয়বর্গীয়রা
দুর্গা পুজোর আগে রাজ্যের বহু মানুষ করোনা ভ্যাকসিন পেয়েছেন৷ তাঁদের মধ্য কেউ ডবল ডোজ, কেউ সিঙ্গেল ডোজ পেয়েছেন৷ কিন্তু, ভ্যাকসিন নিলেই যে করোনা হবে না, এমনটা চিকিৎসক-বিশেষজ্ঞ কেউই বলেন নি৷ কিন্তু, তারপরও এক শ্রেণির বেপরোয়া মানুষ তৃতীয় থেকে পুজো মণ্ডপে ভিড় জমাতে শুরু করেন৷ সময়ের সঙ্গে সেই ভিড় চতুর্থী, পঞ্চমী..অষ্টমীতে মাত্রা ছাড়িয়েছে৷ বাধ্য হয়ে কলকাতার অন্যতম আকর্ষণীয় পুজো শ্রীভূমির বুর্র খলিফা দর্শকদের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে৷
আরও পড়ুন-তাইওয়ানে আগুনে মৃত্যু ৪৬, গুরুতর জখম বহু
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিনে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে ৫৩০ জন নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছে৷ জেলায় সংক্রমণের হারের নিরিখে যথারীতি কলকাতা সবার উপরে৷ তারপরই উত্তর ২৪ পরগনা৷ কলকাতায় একদিনে একশো দুজন জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন৷ উত্তর ২৪ পরগনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৯৭ জন৷ মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের৷ তার মধ্যে কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা ও হাওড়াতে এক জন করে মারা গিয়েছেন৷
আরও পড়ুন-সাভারকরকে মুচলেকা দিতে বলেছিলেন কে ? রাজনাথের বক্তব্যের যুক্তি খুঁজছে ইতিহাস
অভিজ্ঞমহলের মতে, মহালয়ার পর থেকে কলকাতা ও কলকাতা লাগোয়া উত্তর ২৪ পরগনার বড় অংশের মানুষ বেপরোয়া হয়ে পড়েছে৷ করোনা বিধি উপেক্ষা করে শেষ কেনাকাটা করতে বাজার-শপিং মল, কলকাতার চাঁদনী, নিউ মার্কেট গুলি ভিড় উপচে পড়ে৷ রাজ্য সরকার যতই করোনা বিধি নিষেধের কড়া বার্তা দিক না কেন, পুজোতে এক শ্রেণির মানুষের মধ্যে বেপরোয়া ভাব বেড়েছে৷ অনেকেই ভ্যাকসিনেক দোহাই দিয়ে মাস্ক-স্যানিটারজার ছাড়াই বাচ্চা-বয়ষ্কদের নিয়ে বেরিয়ে পড়েন৷ পড়ছেনও৷ কারও আবার বক্তব্য, অষ্টমীর মধ্যে সব মণ্ডপ ঘোরা শেষ করতে হবে৷ তাই, ভিড় হলেও বেরতো হয়েছে৷ কিন্তু, ওই সমস্ত দর্শকের মুখে একবারও করোনা বা মাস্ক-করোনা স্বাস্থ্য বিধির কথা শোনা যায়নি৷ আর এখানেই উদ্বেগ বাড়ার অন্যতম কাররণ বলে মনে করা হচ্ছে৷