করোনা অতিমারির গ্রাসে চলে গেছে গোটা একটা বছর। শুধু একটা বছর তো নয় জীবনের কত চাওয়া-পাওয়ার সুন্দর মুহূর্ত হিসেব নিকেশ ওলট পালট করে দিয়েছে কোভিড ১৯-র মৃত্যু মিছিল। কেও কাছের মানুষ হারিয়ে অবসাদে ভুগেছেন কেও আবার রুটি রোজগার খুইয়ে পথে বসেছেন। অন্যদিকে আবার সংক্রমণ রুখতে জারি করা লকডাউনে বড় থেকে ছোট সবাইকে গৃহবন্দি থাকতে হয়েছে দীর্ঘদিন। চিত্রশিল্পী বিনীত সিনহার ক্যানভাসে উঠে এসেছে সেই সব কষ্টের, আশঙ্কার ও অবসাদের মুহূর্ত।
আজ আর লকডাউন নেই পুজোর পর করোনা সংক্রমণ সাময়িক ভাবে বাড়লেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে।খুলেছে স্কুল-কলেজে। করোনার আতঙ্ক কাটিয়ে কল্লোলিনি কলকাতা ফিরেছে তার চেনা ছন্দে। তবে করোনার মেঘ কিন্তু একেবারে কেটে যায়নি। যেমন রয়েছে সংক্রমণ তেমনি করোনার কারনে আমাদের নিত্যদিনের জীবনযাত্রায় এমন বদল ঘটে গেছে যে অনেক নতুন অনেক কিছু আমাদের অভ্যাসে বদলে গেছে।
করোনাকালে প্রথমে লকডাউন পরে সংক্রমণের ভয় গৃহবন্দি শিশুরা মোবাইলের প্রতি আশক্ত হয়ে পড়েছে। এদিকে স্কুল আংশিক ভাবে খোলার কারণে এখন অনলাইল ক্লাস চলছে কচি কাচাদের। এর ফলে সব সময় মোবাইল ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ রাখাও সম্ভব হচ্ছে না। আর এই পরিস্থিতিতে বাড়ছে সোশাল মিডিয়ার আশক্তি। এর ফলে শিশুদের চিন্তন মননে এর যে প্রভাব পড়ছে সেগুলিও চারকোলের রঙে তাঁর ক্যানভাসে ফুটিয়ে তুলেছেন এই চিত্রশিল্পী।
এদিকে করোনা অতিমারি ও লকডাউনের ফলে প্রভাবিত হয়েছে দেশের অর্থনীতি। মূল্যবৃদ্ধি কারণে বেড়েছে আর্থিক অনটন। এই সব কিছুই একে একে উঠে এসেছে চিত্রশিল্পীর ক্যানভাসে।তাঁর এই অসামান্য চিত্রনে সেজে উঠেছে লকডাউন ডায়েরিজ। সাতটি ছবির সিরিজ নিয়ে সম্প্রতি অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টসে প্রদর্শিত হল এই সব ছবি।