কাটোয়া : করোনা বিধি মেনেই পুজো কাটোয়ার হাড়িবাড়িতে। এবারের পুজো ৪৫৩ বছরে পা দিয়েছে। প্রতিমা তৈরির কাজ প্রায় শেষ। সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব বিধি মেনেই হবে পুজো। কিন্তু প্রতি বছরের মতো এবছরে নেই জৌলুস। প্রথা মেনে যেটুকু করার সেটুকুই হচ্ছে। জানা যায়, মা স্বপ্নাদেশ দিয়ে এই পরিবারে আসেন। সেই সময় থেকেই শুরু হয় পুজো। শুধুমাত্র থোরের নৈবেদ্য দিয়ে মাকে পুজো দিতে বলেছিলেন স্বপ্নে। এই পুজো অন্তত ৫০০ বছরের প্রাচীন পুজো।
আরও পডুন : বুড়িমার আটচালা পুজোয় সপ্তমীতে কুমারী-আরাধনা
কাটোয়ার সুপ্রাচীন পুজোগুলির মধ্যে হাড়িবাড়ির পুজো। বেশ কিছু বিশেষত্ব এবং মিথ নিয়ে এগিয়ে চলেছে এই হাড়িবাড়ির পুজো। পঞ্চাননতলার রাস্তার একেবারে গায়েই বেশ বড় দুর্গামন্দির। মূল মন্দিরের সামনে ভক্তদের জন্য প্রসস্ত ছাদযুক্ত ফাঁকা জায়গা এবং পেছনে পারিবারিক বসতবাটী। পুজোর আয়োজন, কলেবরে ও উৎসবের আড়ম্বরে উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে। স্বপ্নাদিষ্ট হয়ে পুজো শুরুর কথা আস্তে আস্তে কাটোয়া ছাড়িয়ে দূর দূর গাঁয়েগঞ্জে ছড়িয়ে পড়ে। সেখান থেকে মানুষজন এই পুজোয় অংশ নিতে শুরু করেন। অংশ নেওয়া বলতে, তাঁরা সরাসরি এই পুজোর শ্রীবৃদ্ধির জন্য আর্থিক অনুদান ও অন্যান্য অনুদান দিতে শুরু করেন। সেই সঙ্গে শুরু হয় দেবীর কাছে বিভিন্ন রকম মানত করা। তখন থেকেই জানা যায় হাড়িবাড়ির এই দেবী অত্যন্ত জাগ্রত এবং মানতকারীরা কেউই বিফলমনোরথ হচ্ছেন না। বর্তমানে মন্দিরের শ্রীবৃ্দ্ধির একটা অন্যতম কারণ এই মানতকারীদের অনুদান।