Placeholder canvas
কলকাতা শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫ |
K:T:V Clock
ভোটগুলি সব গেল কোথায়?
জয়ন্ত চৌধুরী Published By:  • | Edited By: শঙ্খজিৎ বিশ্বাস
  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ২৬ আগস্ট, ২০২১, ০৫:২৭:০১ পিএম
  • / ৭৩৫ বার খবরটি পড়া হয়েছে
  • • | Edited By: শঙ্খজিৎ বিশ্বাস

লালু আর ভুলু। দুই নিঃসঙ্গ ভূত। গাঁয়ে ভূত বলতে ওরা দু’জনই। কিন্তু বছর বছর কত লোক তো মরছে। তাদের ভূতগুলো সব গেল কোথায়?

ব্যাপার স্যাপার মোটেই ভালো ঠেকছে না লালু-ভুলুর। ওদের ধারণা, এক গাঁয়ের ভূত অন্যত্র গেলে হিসেবের গরমিল হবে। তবে দমবার পাত্র তারা নয়। গাঁয়ের ভূতগুলো কোথায় গায়েব হচ্ছে, সেটা জানা দরকার ওদের। অগত্যা ভূতগুলো খুঁজতে বেরোল লালু-ভুলু।

শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় সৃষ্ট ওই লালু-ভুলুর দশা হয়েছে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের কর্তাবাবুদের। তাদের সমবেত হাহাকার, ভোটগুলো সব গেল কোথায়!

ভেবে ভেবে আর তল পায় না তারা। এক গাঁয়ের ভূত অন্য গাঁয়ে চলে গেলে তো হিসেব মিলবে না। ভোটের বেলাতেও তাই। অন্য ভূতের খোঁজ না মেলায় গায়ে লালু-ভুলু নিঃসঙ্গ। সিপিআইএমেরও একই হাল। স্বাধীনতার পর এই প্রথম বঙ্গে তাদের পরিষদীয় ভাড়ার শূন্য। হিসেবেও গরমিল। এক গাঁয়ের ভূত ভিন গাঁয়ে গেলে গরমিল অনিবার্য। তেমনই এক গরমিল, ফ্যাসাদে ফেলেছে বাংলায় প্রায় সাড়ে তিন দশক শাসন করা একচ্ছত্র অধিপতি সিপিআইএমকে।

গল্পের লালু-ভুলু তো গণেশ গায়েনের বাড়ি থেকে শিশি ভর্তি ভূতেদের মুক্তি দিয়ে দলভারী করেছিল। সিপিএমের অবশ্য ভূত নিয়ে নয় ভবিষ্যৎ নিয়ে কারবার। তাই হরেক কমিটি, উপ-কমিটি, তার রিপোর্ট, হাজারো দলিল, দস্তাবেজ ঘাঁটাঘাঁটি, হ্যাপা কি কম! তবে মোক্ষম জিজ্ঞাসা একটাই, ভোটগুলো সব গেল কোথায়? প্রশ্নটা ঘুরপাক খাচ্ছে তো খাচ্ছেই।

আরও পড়ুন: তারুণ্যে জোর দেওয়া হলেও সিপিএমের পদে পদে বৃদ্ধ কমরেডরা

ভোট কি ভূত নাকি উবে যাবে?

একটা হিসেব দেখেই সব কেমন তালগোল পাকিয়ে গিয়েছে। খুব সরল হিসেব। অষ্টাদশ বিধানসভা নির্বাচনে দলগতভাবে সিপিআইএমের প্রাপ্ত ভোট ২৮ লক্ষের সামান্য বেশি। গত বছর পর্যন্ত রাজ্যে পার্টি সদস্যের সংখ্যা ২ লক্ষ ৬০ হাজার। দলের ছাত্র ও যুব সংগঠনের সদস্য প্রায় ৩৫ লক্ষ। এর সঙ্গে কৃষক, শ্রমিক সহ বিভিন্ন শাখা সংগঠনের মিলিত সদস্য সংখ্যা প্রায় ৫-৬ লক্ষ। অর্থাৎ, দলের গণসংগঠনের সদস্যরা ভোট দিলে সিপিআইএমের প্রাপ্ত ভোট অন্তত আরও পঞ্চাশ শতাংশ বৃদ্ধি পেত। এর মানে অনুগামীরা নিজেদের দলকেই ভোট দেননি। বিড়ম্বনার একশেষ আর কি!

তাহলে, ভোটগুলো গেল কোথায়?
উত্তর তো জানা।
ভোটগুলো হয় জোড়া নয়তো সিঙ্গল ফুলে গিয়েছে।

গত মে মাসে ভোটের ফল প্রকাশ হওয়া ইস্তক দফায় দফায় ময়নাতদন্ত শুরু করেছে সিপিআইএম। ভোটের মুখে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছিল বামফ্রন্ট। সেই জোট বাধা নিয়ে ফ্রন্ট শরিকদের মধ্যে তো বটেই সিপিআইএম-এর অন্দরেও দ্বিধা ছিল। ভোটে ধরাশায়ী হওয়ার পর কিন্তু কিন্তু করে শেষমেশ আলিমুদ্দিন কর্তারা মেনে নিয়েছেন, আইএসএফ জোট কার্যকর হয়নি। কংগ্রেসকে সঙ্গে রেখেও বাড়তি কিছু মেলেনি। তাহলে কি সেই অপছন্দের কারণে, ‘সাম্প্রদায়িক’ বিজেপি কে ঠেকাতে বামেদের একাংশ কাস্তে হাতুড়ি তারা ছেড়ে ঘাস ফুলে ভোট দিয়েছে?

আরও পড়ুন: ‘চোর পালানো’র পরেও ‘বুদ্ধি বাড়েনি’ সিপিএম-এর

কিংবা গত ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের মতো, তৃণমূলী ‘স্বৈরাচার’ রুখতে পদ্মফুলে ছাপ দিয়েছে কমরেডরা। মাত্র দু’বছরের ব্যবধান। যারা রামভরসায় ছিল তাদের কেউ কেউ কি এবার জোড়া ফুল বেঁছে নিয়েছে? নির্বাচনী ফল বলছে, বহুশ্রুত ‘বিজেমুল’ বটিকা সেবনে ঘোরতর অরুচি আমজনতার। ঠেকে শিখেছে সিপিআইএম। তাদের ঐতিহাসিক স্বীকারোক্তির তালিকায় ঠাঁই পেয়েছে সে কথা। তাহলে অতিবাম উদ্যোগীদের ‘নো ভোট টু বিজেপি’-স্লোগানে আস্থা রেখে সিপিআইএম সমর্থকরা শক্তিধর তৃণমূলকেই বেছে নিয়েছে পদ্ম শিবিরকে প্রতিহত করার কাজে। অন্যভাবে বলা যায়, যাকেই দিক না কেন, সিপিআইএমের কাগুজে সমর্থকরা নিজেদেরর দলকেই ভোটে বঞ্চিত করেছে।

ঘটনা যাই হোক , আপাতত বিজেপির বাড়বাড়ন্ত কমলেও ইতিমধ্যে সিপিএম কিন্তু সর্বশান্ত অন্তত পরিষদীয় রাজনীতির নিরিখে। তবুও তাদের ভাবখানা এমন, যেন স্বেচ্ছায় নিজের নাক কেটে পদ্মশিবিরের যাত্রা ভঙ্গ করেছে তারা। পার্টির ইচ্ছা ব্যতিরেকে শুধু বাম ভোটাররা নয়, দলীয় পরিসরে থাকা মানুষ এমনকি কর্মীদের একাংশ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। ভাবা যায়! বামেদের উপর আস্থা হারানোটা এবারের ভোটের সামগ্রিক বৈশিষ্ট্য হতে পারে। কিন্তু পার্টির গণ সংগঠনের সদস্যরাও যে দিশাহারা তা এই ভোটের ফলাফলে স্পষ্ট করে দিয়েছে। তাই দলীয় পরিসরেই দলের প্রার্থীরা ব্রাত্য থেকে গেলেন।

আরও পড়ুন: তথ্য গোপন করায় ন’টি রাজনৈতিক দলকে শাস্তি দিল সুপ্রিম কোর্ট, মোটা জরিমানা সিপিএমকে

কিন্তু কেন?
সেই ৭৮ সালের শালকিয়া প্লেনামে গণ বিপ্লবী পার্টি গড়ার ডাক দেওয়া হয়েছিল। কালক্রমে, তা যে আদতে গণ পার্টিতে পর্যবসিত, আজ এ নিয়ে কেউ তর্ক করে না। এটা ঘটনা যে ২০১৫ সালে ক্ষমতাচ্যুতির চার বছর পর কলকাতা প্লেনামেও স্বীকার করা হয়েছিল সেই সাংগঠনিক ত্রুটির কথা, সদস্যদের নিম্নমুখী গুনমানের কথা। আসলে দশকের পর দশক ধরে চোখের মনির মতো বামফ্রন্টকে রক্ষা করতে গিয়ে দল বাড়ানোর নানাবিধ কৌশল নির্ভরতাই কাল হয়েছে। সেটা বুঝেও বুঝতে চায়নি সিপিআইএম। ক্ষমতার স্পর্ধিত বুকে বিপ্লব নয়, সমাজে দলের আধিপত্য কায়েম করাটাই ছিল একমাত্র মোক্ষ। বিপ্লবী বোল চালের মোড়কে গণ পার্টি।

তাই দ্রুতহারে ঢালাও সদস্যপদ বিলি। যার হাতে যত দলীয় সদস্য, তার হাতে তত কমিটি। আর দলে ক্ষমতা জাহিরে গণ সংগঠনের মেম্বারশিপের রেকর্ড একটা বড় অস্ত্র বৈকি। উপরতলা থেকে কোটা বেঁধে দেওয়া। ফলত, সদস্যের গুণমান নয়, টাকায় চারটি (আটের দশকে ২৫ পয়সা ছিল এসএফআই-এর বাৎসরিক সদস্য চাঁদা) অর্থাৎ কোটা পূরণ চলেছে বছরের পর বছর ধরে। এভাবে যান্ত্রিক হারে বেড়ে চলা গণ সংগঠনের সদস্যের ভারে ফুলে ফেঁপে উঠেছিল সিপিআইএম ও তার শাখা সংগঠনগুলি। দলীয় ভাবাদর্শের সঙ্গে যৎসামান্য পরিচিতিরও প্রয়োজন নেই।

নেই কোনও বৃহত্তর সামাজিক দায়বদ্ধতা। তাদের থেকেই হয়েছে পার্টিতে নিয়োগ। সেখানেও কোটা পূরণ। যার হাতে যত বেশি সদস্য পার্টিতে তার উত্থান তত মসৃণ। পার্টি ক্লাস, সদস্যদের জন্য ইস্যু ভিত্তিক সাধারণ ঘরোয়া বা হল সভা (জিবি মিটিং), নয়ের দশক থেকে নিয়মিত শুদ্ধিকরণ সবই হতো, তবে নিয়ম রক্ষার। বরং ক্ষমতা ধরে রাখতে রাখতে বদলের থেকে সমাজের স্রোতে নিজেকে উপযুক্ত করে তোলার প্রাণান্তকর প্রয়াস অগ্রাধিকার পেল কমরেডদের কাছে। তাতেই তো নির্বাচনী সাফল্য। সেই সাফল্যের জোয়াল ঘাড়ে চাপতেই শিকেয় উঠল কর্মীদের গুণমান যাচাই প্রক্রিয়া। সমাজে মাথাচাড়া দিলো শাসক সুলভ পার্টি স্বৈরাচার। যার অবশ্যম্ভাবী পরিণতিতে ক্রমশ বেড়ে চললো জনবিচ্ছিন্নতা। যে সাংগঠনিক বড়াই এতকাল ভোট বৈতরণী পার করতে মদত দিয়েছে,ক্ষমতা থেকে বিদায় নিতেই তাসের ঘরের মতো তা ভেঙে পড়েছে।

আরও পড়ুন: চতুর্থ স্তম্ভ: সিপিএমের বিজেমূল তত্ত্ব

সম্প্রতি, সিপিআইএমের বাংলা কমিটির রিপোর্ট এই কাগুজে পার্টি সদস্যের কথা উল্লেখ করেছে। ‘একথা অস্বীকার করা যাবে না যে, রাজ্যে পার্টি সদস্যের এক বড় অংশের চেতনার মান নিম্ন।’ ফলে মানুষের মধ্যে দলের ‘রাজনৈতিক বক্তব্য পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুতর দুর্বলতা রয়ে গিয়েছে’- বলে কবুল করেছে অলিমুদ্দিনের কর্তারা। বোঝা গেল কমিউনিস্ট পার্টির গণচরিত্র দলের মেম্বারশিপ দিয়ে বিচার করা ভুল। তারই মাশুল গুনতে হয়েছে তাদের।

অতএব পার্টি এবং গণ সংগঠনের আপাত বাড়বৃদ্ধির ফাঁপানো ছবিটা প্রকট হয়েছে দলের রাজ্য কমিটির রিপোর্টে। কিন্তু কমিউনিস্ট পার্টি তো নিরেট কর্মী বাহিনীর সমাবেশ নয়। তার একটা রাজনৈতিক মতাদর্শের ভিত্তি থাকে। নির্মম, নির্মোহ আন্তরিক আত্মসমালোচনার দ্বান্দিকতার মধ্য দিয়েই তার অগ্রগতি। ক্ষমতার অলিন্দে বিচরণ করতে করতে মতাদর্শগত অনুশীলন ক্রমশ পিছনের সারিতে চলে গিয়েছিল। তাই দেশে কে প্রধান কে অপ্রধান শত্রুপক্ষ তা বুঝতেই কালঘাম ছুটছে। ক্ষমতায় ফেরার রণকৌশল গ্রাস করেছে পার্টির রণনীতিকে। সমাজ-রাজনীতির নৈর্ব্যক্তিক বিশ্লেষণের থেকেও গুরুত্ব পেয়েছে ব্যক্তি আক্রোশ জনিত ভাবনা। যেনতেন ক্ষমতায় ফেরার এক উদগ্র বাসনা। রণকৌশল নির্ধারণেও সেই ছাপ পরিস্ফুট হয়েছে।

এই বেনজির পরাজয়ের পরেও কি সেই সংকট থেকে সিপিআইএম মুক্ত?
শীর্ষেন্দুর লালু-ভুলু অবশেষে ভূতেদের হদিশ পেয়েছিল। খুঁজে পাওয়া ভূতের পালকে নিজেদের দলেও টেনেছিল। সিপিআইএম নিজেদের হারানো ভোটারদের চিহ্নিত করার কাজটা না হয় করল, কিন্তু পুনরুদ্ধার? সেটা নির্ভর করবে দলের রাজনৈতিক লাইন কী হবে তার উপর। দেখা যাক, দলের আসন্ন সম্মেলন পর্বে সে বিষয়ে নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দিশা দিতে পারেন কি না নেতারা।

পুরনো খবরের আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০ ১১ ১২
১৩ ১৪ ১৫ ১৬ ১৭১৮ ১৯
২০ ২১ ২২ ২৩ ২৪ ২৫ ২৬
২৭ ২৮ ২৯ ৩০  
আর্কাইভ

এই মুহূর্তে

সেমিফাইনালে ওঠাই লক্ষ্য ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের
বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৫
হার্ভার্ডে বিদেশি ছাত্র ছাত্রীদের পড়ানো বন্ধের হুঁশিয়ারি ট্রাম্প প্রশাসনের
বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৫
গরু পাচার রুখতে গিয়ে প্রাণ গেল একজনের, আহত দুই পুলিশ
বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৫
ঘোষিত ওয়াকফ সম্পত্তি বাতিল নয়, কেন্দ্রীয় সরকারের আশ্বাসে স্বস্তি
বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৫
ভুয়ো পাসপোর্ট কাণ্ডে তৎপর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা
বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৫
রূপান্তরকারী নারীরা ‘মহিলা’ নন, যুগান্তকারী রায় ব্রিটিশ সুপ্রিম কোর্টের
বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৫
চাকরি গেল ভারতের ব্যাটিং ফিল্ডিং কোচের, ইংল্যান্ড ম্যাচের আগে বদল
বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৫
শিনকানসেন, ভারতকে বিনামূল্যে বুলেট ট্রেন উপহার জাপানের
বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৫
শেয়ার বাজারে বড় উত্থান, সেনসেক্স বেড়েছে প্রায় ১২০০ পয়েন্ট
বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৫
চাকরি করতে পারবেন…আপাতত স্বস্তি ২৬ হাজার চাকরিহারার, এল সুপ্রিম নির্দেশ
বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৫
দিল্লির রঙ্গা-বিল্লা মামলা নিয়ে তৈরি হচ্ছে ওয়েব সিরিজ
বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৫
পরিবারের অমতে বিয়ে করলে, মিলবে না পুলিশি সুরক্ষা, বিতর্কিত রায় এলাহাবাদ হাইকোর্টের
বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৫
বঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাস, তীব্র গরম থেকে মিলবে কি স্বস্তি?
বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৫
বিধ্বংসী আর্সেনাল, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে রিয়ালের বিদায়
বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৫
ওয়াকফ নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে সুপ্রিম কোর্ট
বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৫
© R.P. Techvision India Pvt Ltd, All rights reserved.
Developed By KolkataTV Team