হলদি অর্থাৎ হলুদকে ‘অলৌকিক ভেষজ’ বলে অভিহিত করা হয়। ‘মিরাকেল হার্বাল’ বলতে যা বোঝায়। কাঁচা হলুদ যে শুধু ত্বকের যত্ন নেয় তা নয়। হলুদের নাকি ৪৬টি গুনাগুন আছে। কাঁচা হলুদ খাদ্য সংক্রমণ থেকে যেমন বাঁচায় তেমনি হাড়ের ক্ষয় রোধ করে। এমনকি কাঁচা হলুদ ট্রমাটিক ডিসঅর্ডার কমাতেও নাকি সাহায্য করে। ট্রমাটিক ডিসঅর্ডার এর ক্ষেত্রে যে সমস্ত খারাপ এবং ভয়ঙ্কর স্মৃতি থাকে হলুদে থাকা কারকিউমিন তা কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া স্ট্রেস বা উদ্বেগ থেকে মুক্তি দেয়। কারকিউমিন অ্যান্টি ডায়াবেটিক হিসেবেও কাজ করে। শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার ক্ষেত্রেও কাঁচা হলুদ অত্যন্ত উপকারি। সর্দি কাশির ক্ষেত্রে কিংবা ইনফ্লুয়েঞ্জা কমাতে কাঁচা হলুদের কারকিউমিন অত্যন্ত উপকারী। মেয়েদের অ্যানিমিয়া কমাতেও যথেষ্ট সাহায্য করে। গবেষণা থেকে প্রাপ্ত অল অনুযায়ী মূত্রনালীর সংক্রমণ কমাতে সাহায্য করে কাঁচা হলুদ। ইস্ট্রোজেন নামক হরমোন মেয়েদের দেহে থাকে। মেনোপজ এর সময় ডিপ্রেশন কাটাতে সাহায্য করে কাঁচা হলুদ। এমনকি চুল পড়ার সমস্যা থেকেও বাঁচতে সাহায্য করে এটি। এই কাঁচা হলুদের উপকারিতা কথা মাথায় রেখেই হলুদের অর্থাৎ হলদির প্রেমে পড়েছেন দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান ও। সোশ্যাল মিডিয়ায় জয়া অত্যন্ত সক্রিয়।সকলেই জানেন যে জয়া যথেষ্ট স্বাস্থ্য সচেতন।
প্রায়ই দেখা যায় ফ্যানেদের সঙ্গে তিনি জীবনের নানা ঘটনা শেয়ার করছেন। এবার তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝুড়িভর্তি হলুদ নিয়ে নিজের ছবি দিয়ে ভক্তদের চমকে দিয়েছেন। করোনায় ঘরবন্দী থেকে বাগানে নারায়ন গাছের পরিচর্যা করেই বেশিরভাগ সময়টা কাটিয়েছেন জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে প্রায় টেরেসের নানান সবজি ও ফলের ছবি পোস্ট করেছিলেন জয়া। এবার ডালা ভর্তি কাঁচা হলুদের ছবি পোস্ট করে অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘সদ্য তোলা সোনালি হলুদের মনমোহিনী ঘ্রাণ…’। ঢাকার বাড়ির ছাদে হলুদ গাছ লাগিয়েছিলেন জয়া। আর তা থেকেই হয়েছে এই হলুদ। যা তাঁর অত্যন্ত কাজে লাগবে। সূর্য হলুদ নয় সেই বাগানে রয়েছে বেগুন,বরবটি, শিম, পেয়ারা,সফেদা,কামরাঙ্গা ও ভেষজের নানা রকমের গাছ। হলুদ চাষের ছবি দেখে নেটিজেনরা জয়ার প্রশংসায় পঞ্চমুখ। জয়া শুধু বাগানের যত্ন করেন না, তিনি ভালোবাসেন প্রাণীদের। সারমেয়দের জন্যও তার প্রাণ কাঁদে।