অভিনেতা-কমেডিয়ান তীর্থানন্দ রাও প্রায় দুই বছর কাজ না পাওয়ার পর সম্প্রতি বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তিনি ১৫ বছর ধরে ইন্ডাস্ট্রিতে রয়েছেন। তাকে ইন্ডাস্ট্রিতে নানা পাটেকারের লুকঅ্যালাইক বলা হয়। দু’বছর কাজ না পাওয়ার পর করোনা পরিস্থিতির আরও অবনতি দেখে দুর্দশার আতঙ্কে তিনি আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেন। আশপাশের লোকজন বিষয়টি জানতে পারলে তাকে তৎক্ষণাৎ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। চারদিন হাসপাতালে থাকার পর কোনক্রমে তার জীবন রক্ষা পায়। তীর্থানন্দ বাড়িতে ফিরে এসেছেন। অবস্থার কিছুটা উন্নতি’ হয়েছে। আর্থিক সমস্যার কারণে তীর্থানন্দর পরিবারের লোকেরা তাকে ছেড়ে চলে গেছে। এমনকি হাসপাতালে থাকাকালীন অভিনেতার মা এবং ভাই তাঁকে দেখতে আসেনি। নিত্যানন্দ একজন নৃত্যশিল্পীকে বিয়ে করেছিলেন। তাদের একটি মেয়ে আছে। তাঁর স্ত্রী আবার বিয়ে করেছেন। মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। তাদের কারও সঙ্গেই তীর্থানন্দর কোন যোগাযোগ নেই। করোনা পরিস্থিতির নতুন করে আবার অবনতি হলে হতাশা আরো বেশি করে অভিনেতাকে গ্রাস করে। তার ফলে তীর্থানন্দ আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিলেন। তীর্থানন্দ ৮টি ভিন্ন ভাষার ছবিতে কাজ করেছেন। তিনি নানা পাটেকারকে নকল করতেন। সেই জন্যই সকলেই তাকে নানা পাটেকারের লুকঅ্যালাইক বলেন। অভিনেতা অভিযোগ করেছেন যে কয়েকটি ছবিতে কাজ করে তিনি ঠিকমতো পারিশ্রমিক পান নি। এমনকি একটি ছোট প্লাটফর্মে ওয়েব সিরিজের কাজ করেছিলেন সেখানেও তিনি টাকা পাননি। ২০১৬ সালে কপিল শর্মার কিছু শোতে এই অভিনেতাকে দেখা গিয়েছিল।