হলদিয়া: জাহাঙ্গিরপুরীর সংঘর্ষের ঘটনায় যোগ রয়েছে বাংলার। দিল্লির ঘটনায় দু’জন মূল অভিযুক্ত আসলাম এবং আনসারের বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়া ও মহিষাদলে । কিন্তু তারা সম্পূর্ণ নির্দোষ। এলাকায় যথেষ্ট ভাল মানুষ হিসেবে পরিচিত। এমনটাই দাবি ওই এলাকার মানুষের।
মূল অভিযুক্ত আনসারের বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার হলদিয়া ব্লকের কুমারপুর গ্রামে। আনসারের গ্রেফতার নিয়ে তার প্রতিবেশীদের দাবি, আনসার ভাল লোক তাকে ফাঁসানো হয়েছে। প্রায়শই মেদিনীপুরের বাড়িতে আনসার আসত নিজের পরিবার নিয়ে। এলাকায় দানধ্যান করতো। বিনা কারণে ফাঁসানো হয়েছে আনসারকে।
দিল্লী কাণ্ডের অভিযুক্তদের মধ্যে নাম রয়েছে শেখ আসলামেরও। তার বাড়ি মহিষাদলের কাঞ্চনপুরে। আসলামরা ৬ ভাই দুই বোন। স্থানীয় সূত্রের খবর, রাজমিস্ত্রীর কাজে কলকাতা গিয়েছিল আসলাম। সেখান থেকেই আজমীর যাওয়ার জন্য দিল্লিতে পৌঁছেছিল। আচমকাই দিল্লীর ঘটনায় তার নাম জড়ায়, তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এলাকায় ভালো ছেলে হিসাবে পরিচিত আসলাম। ঘটনার খবর পেয়ে উদ্বিগ্নে স্থানীয়রা।
হনুমান জয়ন্তীর শোভাযাত্রা ঘিরে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে শনিবার সন্ধের পর থেকেই অশান্ত হয়ে উঠেছিল দিল্লির জাহাঙ্গিপুরী৷ সোমবার তার ১০০ মিটারের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা ছড়াল৷ অভিযুক্তের এক আত্মীয়কে জেরা করতে এ দিন পুলিস জাহাঙ্গিরপুরী যায়৷ এলাকায় পুলিস দেখেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন স্থানীয়দের একাংশ৷ তাঁরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন৷ ভিড়ের মধ্যে থেকে পাথর ছুড়ে মারা হয় পুলিসকে৷
আরও পড়ুন- Balurghat Municipality: পুরসভায় ঢুকে পুরকর্মীকে মারধর, কাঠগড়ায় তৃণমূল নেতা
এই ঘটনায় মোট ২৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ ধৃত আটজনের বিরুদ্ধে অপরাধের রেকর্ড খুঁজে পাওয়া গিয়েছে৷ দিল্লি পুলিস জানিয়েছে, মূল অভিযুক্তরা হল আসলাম এবং আনসার। তাদের ২ জন বর্তমানে পুলিসি হেফাজতে রয়েছে। সূত্রের খবর, ওই দুজনই বাংলার বাসিন্দা। আর তাদের নিয়ে উদ্বিগ্নে দিন কাটছে এলাকাবাসীর।