বোলপুর: উপাচার্য বিতর্ক নিয়ে উত্তাল বিশ্বভারতী। উপাচার্যের বিরুদ্ধে কথা বললেই করা হচ্ছে বহিষ্কার নয় সাসপেন্ড। এই নিয়ে শুরু হয়েছে আন্দোলন। এবার ছাত্র ছাত্রীদের পাশাপাশি বিশ্বভারতীর ঐতিহ্য ও গরিমা ফিরিয়ে আনতে শনিবার বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় তৃণমূলের পক্ষ থেকে ছাত্র পরিষদের মিছিল করবে।
তাতে যোগ দিতে চলেছে জেলার বিভিন্ন স্কুল কলেজ। ইতিমধ্যেই বাসে করে ছাত্র-ছাত্রীরা ঢুকতে শুরু করে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। বোলপুরের ডাকবাংলো মাঠ থেকে মিছিল শুরু হবে। শান্তিনিকেতন রোড হয়ে শান্তিনিকেতন থানার পাশ দিয়ে বিশ্বভারতীর ইন্টারন্যাশনাল গেস্ট হাউস পর্যন্ত যাবে এই মিছিল। তারপর তৃণমূল ছাত্র পরিষদের পক্ষ থেকে তৃণমূলের একটি প্রতিনিধিদল উপাচার্যের বাসভবনের মাত্র ৫০ মিটার দূরে পূর্বপল্লী গেস্ট হাউসের সামনে ধর্না মঞ্চে যাবে। কথা বলবে আন্দোলনকারী ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে।
আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের পাশে থাকার বার্তা দিতে মিছিল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের
বেশ কয়েক বছর আগে বিশ্বভারতীর উপাচার্য পদে যোগ দিয়েছেন অধ্যাপক বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। তিনি উপাচার্যের আসনে বসার পর থেকেই বিতর্ক যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না রবীন্দ্রনাথের সাধের শান্তিনিকেতনকে। রবীন্দ্রনাথ জীবনের সবচেয়ে বেশি সময় কাটিয়েছেন শান্তিনিকেতনে। বাঙালির প্রিয় জায়গা এই শান্তিনিকেতন। সেই শান্তিনিকেতনেই নাকি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর “বহিরাগত”। এ ধরনের বিভিন্ন মন্তব্য করে একের পর এক বিতর্কে জড়িয়েছেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য অধ্যাপক বিদ্যুৎ চক্রবর্তী।
বিতর্কিত উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী
আরও পড়ুন: বাইক চুরির টাকা না পেয়ে সঙ্গীকে খুন, গ্রেফতার ২
শুধু বিতর্কিত মন্তব্যই নয় তাঁর কাজকর্মের প্রতিবাদ করায় ১২ জন অধ্যাপক-অধ্যাপিকাকে আগেই সাসপেন্ড করেছিল বিশ্বভারতী। এছাড়াও অর্থনীতি এবং সংগীত বিভাগের মোট ৩ জন পড়ুয়াকে ৬ মাসের জন্য সাসপেন্ড করা হয়। পরবর্তীতে সাসপেনশনের মেয়াদ বর্ধিত করা হয়। সম্প্রতি তিন পড়ুয়াকে ৩ বছরের জন্য বহিষ্কার করে কর্তৃপক্ষ। উপাচার্যের এই স্বৈরাচারী মনোভাবে জন্য পদত্যাগ সহ বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলনে নামে ছাত্রছাত্রীরা। পরিস্থিতি সামলাতে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ মামলা করে কলকাতা হাইকোর্টে। সেই মামলা চলছে। নিজেদের দাবিতে অনড় বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা।
আরও পড়ুন: সাইবার সুরক্ষা নিয়ে গোয়েন্দাদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার পরিকল্পনা লালবাজারের