পচা মাংসের কারবারে এ বার নাম জড়াল হুগলির। চুঁচুড়ার একটি মাংসের দোকান থেকে উদ্ধার হয় ৫৬ কেজি পচা মাংস। পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাতে চন্দননগর থানার পুলিশ কমিশনারেটের অন্তর্গত এনফোর্সমেন্ট শাখার আধিকারিকরা এবং ফুড সেফটি অফিসাররা হঠাৎই চুঁচুড়ার খরুয়া বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে পচা মাংস উদ্ধার করে। পচা মাংস রাখা এবং বিক্রির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় ওই দোকানের মালিককে।
আরও পড়ুনঅতুলপ্রসাদের দেড়শো তম জন্মবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাজ্ঞলি
এই বিষয়ে চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের সিপি অর্ণব ঘোষ জানান, ‘মাংসগুলি কতদিনের পুরনো তা জানতে পরীক্ষা করতে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট হাতে এলেই সম্পূর্ণ চিত্রটা পরিস্কার হবে।’ উল্লেখ্য, হুগলির এই ঘটনা স্মৃতি ফেরাল ২০১৮ সালের ভাগাড় কাণ্ডের। যা নিয়ে উত্তাল হয়েছিল কলকাতা সংলগ্ন শহরতলির অধিকাংশ এলাকা। এর পরেই বজবজের একটি ভাগাড় থেকে মরা পশুর মাংস পাচার হওয়ার তথ্য সামনে আসে। যেখান থেকেই মাংসগুলি যেত শহরের বিভিন্ন হোটেলে।
আরও পড়ুন ভাঙন অব্যাহত, বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ৪০টি পরিবার
সেই ঘটনায় তদন্ত শুরু হলে ক্রমেই সামনে আসতে থাকে নানা তথ্য। দুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই ভাগাড়ের মাংস পাচার চক্রের মূল পান্ডা সানির হদিস মেলে। এরপরই জানা যায়, শুধু বজবজ নয়, কারবার ছড়িয়েছে ট্যাংরা, কাঁকিনাড়া, জগদ্দল-সহ একাধিক জায়গায়। এর পরেই পুলিশ হানা দেয় শহর কলকাতার বিশেষ কিছু হোটেল- রেস্তরাঁতে। খোঁজ মেলে হিন্দুস্তান কোল্ড স্টোরের। সেখানেই হিমঘর ভাড়া নিয়ে জমা রাখা হত এই সব মাংস। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে , শহর ছাড়িয়ে পচা মাংসের কারবার ছড়িয়েছে আন্তর্জাতিক স্তরেও। ঘটনায় নাম জড়ায় নামী রেস্তরাঁর।
আরও পড়ুন অতুলপ্রসাদের দেড়শো তম জন্মবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাজ্ঞলি