করোনার দ্বিতীয় প্রবাহ আগের থেকে অনেকটাই কমেছে। যার ফলে বিভিন্ন রাজ্যে উঠে যাচ্ছে লকডাউন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় বাড়ি ছেড়ে রাস্তায় বেরোচ্ছেন অনেকেই। কিছু কর্মচারী নিয়ে খুলে যাচ্ছে সরকারি ও বেসরকারি অফিস। নিয়ম অনেকটাই শিথিল হওয়ায় বহু শহরেই খুলে দেওয়া হয়েছে শপিংমল, রেস্তোরাঁ, ক্যাফে। এরই মধ্যে মানুষের আনাগোনা শুরু হয়েছে এই সব বিনোদনের স্থানগুলিতে। কিন্তু লকডাউন বা সংক্রমণের মধ্যেও যে সকল ছাড় দিচ্ছে সরকার, সেখান থেকে যে ভবিষ্যতে আর কখনও করোনা হবে না, সেই বিষয়ে কিন্তু নিশ্চিত করছেন না বিশেষজ্ঞরা।
বরঞ্চ তাঁরা বলছেন, যে ভাবে নিয়ম শিথিলের সঙ্গে সঙ্গে শপিংমল ও রেস্তোরাঁগুলি খুলে দেওয়া হচ্ছে, তাতে আর মাত্র ৩০ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে ভারতে প্রবেশ করবে করোনার তৃতীয় প্রবাহ। এক সমীক্ষা রিপোর্ট বলছে, আগামী ৬০ দিনের মধ্যে ৩০% লোকজন শপিংমলে যেতে শুরু করবেন এবং ২৯% লোকজন রেস্তোরাঁয় খেতে যাবেন। এছাড়া প্রায় ৯০% মানুষ শপিংমল কিংবা রেস্তোরাঁতে না গেলেও পারিবারিক অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন, আর তা না হলে নিজেদের বাড়িতে অতিথি আপ্যায়ন করবেন। ফলে সেক্ষেত্রে দূরত্ব বিধি মানা, মাস্ক পড়া, ঘন ঘন হাত ধোওয়া, এই বিষয় গুলি আর মানা হবে ? এই বিষয়টাই ভাবাচ্ছে বিশেষজ্ঞদের।
আরও পড়ুন : বাড়ল কোভিডের বিধিনিষেধের মেয়াদ
সারা দেশে করোনার তৃতীয় প্রবাহ কবে আসবে এই নিয়ে এখনও কিছুটা অনিশ্চয়তা থাকলেও মহারাষ্ট্র সরকার এখন থেকেই করোনার তৃতীয় প্রবাহ নিয়ে অনেকটাই তৎপর। সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে ডেল্টা প্লাস নামে করোনার এক নতুন স্ট্রেন। দক্ষিণ আমেরিকায় এই নতুন স্ট্রেনের উৎপত্তি। যার প্রকোপ ভারতে না পড়লেও আশঙ্কা উড়িয়ে দিতে পারছেন না মহারাষ্ট্র সরকার। এই নতুন স্ট্রেনের জেরে ভারতে করোনার তৃতীয় প্রবাহ আসতে পারে। যে কারণে কিছু রাজ্য সরকারি আধিকারিক জানিয়েছেন, তৃতীয় প্রবাহের জেরে আগামী দিনে হয়তো আবারও লকডাউন ঘোষণা হবে মহারাষ্ট্রে। প্রসঙ্গত, মহারাষ্ট্রে শুরু হয়েছে ৫ দফার আনলক পক্রিয়া। কিন্তু সংক্রমণের হার বাড়লে ফের হবে লকডাউন, জানিয়েছে মহারাষ্ট্রের প্রধান সচিব অসীম গুপ্ত।