কালিয়াগঞ্জ : বিয়ের দাবিতে কালিয়াগঞ্জ থানায় কর্মরত এক সিভিকের বাড়ির সামনে ধর্নায় বসেছে গঙ্গারামপুরে এক মহিলা সিভিক। মঙ্গলবার এই ঘটনাটি ঘটেছে কালিয়াগঞ্জের বরুনা পঞ্চায়েতের দিলালপুর গ্রামে।
গঙ্গারামপুরের তিলনা বুড়িনগর গ্রামের যুবতী বিমলা দেবশর্মার অভিযোগ, গত ফাল্গুন মাসে তার সঙ্গে শ্যামাপদর বিয়ের জন্য দুই পরিবারের মধ্যে দেখাশোনা হয়েছিল। এরপর বিয়ের কথাবার্তা বেশিদূর এগোয়নি। এই দেখাশোনা পর্ব থেকে তাঁর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ গড়ে উঠেছিল শ্যামাপদর। এরপর তাঁদের সম্পর্ক গভীরতা পায়। একে ওপরের সঙ্গে গত সপ্তাহেও ঘনিষ্ঠভাবে মেলামেশা করেছেন তাঁরা। মেলামেশার কথা উভয় পরিবার ভালোমতোই জানত।
আরও পড়ুন- স্বামীকে ফিরে পেতে শ্বশুরবাড়ির সামনে ধর্নায় গৃহবধূ
এরপর হটাত মেয়েটি খবর পায় অন্য এক মেয়ের সঙ্গে বিয়ের রেজিস্ট্রি করেছে শ্যামাপদ। ঘনিষ্ঠ ভাবে মেলামেশার পর একতরফা ভাবে সম্পর্ক ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত মানতে না পেরে বিয়ের দাবি নিয়ে শ্যামাপদর বাড়ির সামনে ধর্না দিতে বাধ্য হয়েছেন বলেই দাবি বিমলার।
এদিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত সংবাদমাধ্যমের কাছে বিমলা বলেন, ‘বিয়ের কথা শুনে সোমবার দুপুরে শ্যামাপদর সঙ্গে দেখা করতে ওর বাড়িতে ছুটে আসি। কিন্তু শ্যামাপদ সামনে আসেনি। গতকাল রাতে শ্যামাপদর বাড়ির লোকজন জোর করে আমায় বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। আমি শ্যামাপদকে ভালবাসি, ওকে বিয়ে করে সংসার করতে চাই, তাই সকালে আবার এসেছি।’
আরও পড়ুন- থানার মধ্যে গর্ভবতী প্রেমিকাকে বিয়ে যুবকের
শ্যামাপদর বাড়ির লোকজন তাঁকে টানাহ্যাঁচড়া করে তাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে বলেও অভিযোগ বিমলার। অপরদিকে শ্যামাপদর বাবা অভিরাম সরকারের দাবি, বিয়ের জন্য পাত্রী হিসেবে বিমলাকে দেখতে গিয়েছিলেন এটা সত্যি। তাঁদের পছন্দ হলেও শ্যামাপদর পছন্দ হয়নি পাত্রী। তাই এই সম্পর্ক নিয়ে কথাবার্তা বেশিদূর এগোয়নি। শ্যামাপদর সঙ্গে মেলামেশার যে দাবি করছে বিমলা, তা সত্যি নয় বলেও দাবি করেছেন অভিরাম সরকার।