বনগাঁ: নৈশ কার্ফুর কারণে ভোরের কয়েকটি ট্রেন বাতিলের প্রতিবাদে বুধবার ভোররাত থেকে অবরোধে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ল বনগাঁ শাখার রেল চলাচলও (train blocked for night curfew) । বনগাঁ থেকে প্রথম ও দ্বিতীয় ট্রেন চালু করতে হবে, এই দাবিতে শিয়ালদহ-বনগাঁ শাখার ঠাকুরনগরে অবরোধ শুরু করেন ফুল ব্যবসায়ীরা (train blocked at sealdah south)। ঠাকুরনগরে বিরাট ফুল বাজার রয়েছে। মূলত সেখান থেকেই উত্তর কলকাতা ও শহরতলির বাজারে ফুল সরবরাহ হয়। ট্রেনের সময় সারণী বদল হওয়ায় ব্যবসায় ব্যাপক মার খাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা (Rail blocked for night curfew)। বিকেল পাঁচটা নাগাদ গাইঘাটা-রামচন্দ্রপুর সড়কও অবরোধ শুরু করেন ফুল চাষিরা ।
রাত থেকে অবরোধ চলার পরও এ দিন বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়নি। বিক্ষোভ-অবরোধের জেরে অফিসযাত্রীরা চরম নাকাল হন। রেল আধিকারিকরা বিক্ষোভকারীদের বোঝানোর বহু চেষ্টা করলেও অবরোধকারীরা তাঁদের দাবিতে অনড় থাকেন। দীর্ঘক্ষণ অবরোধের জেরে বেশ কয়েকটি ট্রেন বাতিল হয়। কয়েক হাজার নিত্যযাত্রী এদিন অফিসকাছারিতে যেতে না পেরে বাড়ি ফিরে যেতে বাধ্য হন।
বনগাঁ শাখার বিভিন্ন স্টেশনে অবরোধের কারণে বারাসত, হৃদয়পুর স্টেশনে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়। এমনকী টিকিট দেওয়া বন্ধ রাখা হয়। বেলায় গোবরডাঙা-শিয়ালদহ ট্রেন চলাচল শুরু হলেও সকাল থেকে হয়রানির শিকার হন রেলযাত্রীরা।
আরও পড়ুন : Rail blockade: ক্যানিং-শিয়ালদহ শাখায় ৬ ঘণ্টা রেল অবরোধ, যাত্রী-বিক্ষোভ, হাতাহাতি
বিক্ষোভ ও অবরোধ শুরু হয় ভোররাত থেকে। ফুল ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, সব ট্রেন চলছে। আর আমাদের বনগাঁ থেকে ২টা ৫৮ মিনিটের প্রথম ট্রেন বাতিল। এই ট্রেনের জন্য প্রচুর ফুল ব্যবসায়ীর রুটিরুজি চলে। এর ফলে ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে ফুল ব্যবসায়ীদের। বেলা ১০টার পর গোবরডাঙা থেকে ট্রেন চলাচল শুরু হয়।
আরও পড়ুন : ভিড়ের চাপে ট্রেন থেকে পড়ে মৃত্যু, আত্মীয়ের বিয়ের সম্বন্ধের শুরুতেই ছেদ
রেল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথম ও দ্বিতীয় ট্রেনের দাবিতে রাত ২টো থেকে ঠাকুরনগর রেলগেটে অবরোধ শুরু করেন ফুল ব্যবসায়ীরা। লাইনের উপর ফুলের বস্তা ফেলে অবরোধ শুরু হয়। বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, মূলত ফাস্ট ট্রেন এবং সেকেন্ড ট্রেনে তাঁরা ফুল নিয়ে কলকাতায় যান। ফুলের ব্যবসা করে তাদের পেট চলে। সকালের দুটো ট্রেন না চললে তারা কলকাতায় যেতে পারবেন না এবং না খেয়ে মরতে হবে। ফলে অবিলম্বে ট্রেন চালু করতে হবে। যতক্ষণ না ট্রেন চালানো হবে, ততক্ষণ তাঁরা অবরোধ চালিয়ে যাবেন বলে জানান। ঠাকুরনগরে এখনও বিক্ষোভ চলছে।