ক্যানিং: নৈশ কার্ফুর কারণে ভোরের কয়েকটি ট্রেন বাতিলের প্রতিবাদে বুধবার সকাল ৫টা থেকে অবরোধে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ল শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার রেল চলাচল। প্রায় ৬ ঘণ্টা অবরোধ চলার পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। বিক্ষোভ-অবরোধের জেরে অফিসযাত্রীরা চরম নাকাল হন। অবরোধকারীদের সঙ্গে নিত্যযাত্রীদের বচসা থেকে হাতাহাতি পর্যন্ত হয়। রেল আধিকারিকরা বিক্ষোভকারীদের বোঝানোর বহু চেষ্টা করে শেষমেশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাঁদের আশ্বস্ত করা হয়। তাঁদের দাবি রেলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও রাজ্য সরকারকে জানানোর প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। দীর্ঘক্ষণ অবরোধের কারণে বেশ কয়েকটি ট্রেন বাতিল হয়। কয়েক হাজার নিত্যযাত্রী এদিন অফিসকাছারিতে যেতে না পেরে বাড়ি ফিরে যেতে বাধ্য হন।
আজ সকাল পাঁচটা থেকে ক্যানিং- শিয়ালদহ শাখার তালদি স্টেশনে অবরোধ করেন নিত্যযাত্রীরা। মূলত তাঁদের দাবি, সকালের দিকে ট্রেন বাতিল থাকায় সমস্যায় পড়েছেন তাঁরা। করোনার কারণে যে নতুন নির্দেশিকা জারি হয়েছে, তার ফলে যে ট্রেনগুলি বাতিল করা হয়েছে, তা চালু করতে হবে। মূলত সকালের প্রথম ও দ্বিতীয় ট্রেনটিতে কলকাতা শহরে পরিচারিকার কাজে যান প্রচুর মহিলা। এছাড়াও বহু মাছ ব্যবসায়ী মাঝরাতে ছাড়া এই ট্রেনগুলিতেই যাতায়াত করেন। মূলত তাঁরাই সবথেকে বেশি সমস্যার মুখে পড়েছেন।
প্রথম ও দ্বিতীয় ট্রেন বাতিল থাকায় ট্রেনে ওঠা সম্ভব হচ্ছে না। পরের ট্রেনগুলোয় প্রচুর ভিড় হচ্ছে। আর যথাসময়ে তাঁরা পৌঁছাতে না-পারায় ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে তাঁদের। সেই কারণেই এই যাত্রী বিক্ষোভ।
আরও পড়ুন : ভিড়ের চাপে ট্রেন থেকে পড়ে মৃত্যু, আত্মীয়ের বিয়ের সম্বন্ধের শুরুতেই ছেদ
তাঁরা দাবি তোলেন, যতক্ষণ না রেলের কর্তৃপক্ষরা আশ্বস্ত করবে, এই অবরোধ তাঁরা চালিয়ে যাবেন। বিক্ষোভ চলাকালীনই কলকাতামুখী অফিসযাত্রীরা রুখে দাঁড়ান। তখন বচসা থেকে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। তারপরও অনড় হয়ে থাকেন অবরোধকারীরা। শেষে ৬ ঘণ্টা পর অনেক বোঝানোয় লাইন ছেড়ে দেন বিক্ষোভকারীরা।