হাওড়া: অতিরিক্ত ভিড়ের চাপে চলন্ত ট্রেনের কামরা থেকে পড়ে মৃত্যু হল প্রৌঢ়ের। এক নিকটাত্মীয়ের বিয়ের সম্বন্ধ দেখতে সপরিবারে বেরিয়েছিলেন তাঁরা। পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা থেকে চন্দন প্রচণ্ড নামের ৫৬ বছর বয়সি ওই প্রৌঢ় ও তাঁর স্ত্রী, পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে ডানকুনি গিয়েছিলেন আত্মীয়বাড়িতে। আজ সকাল ৮টা নাগাদ ফেরার জন্য ট্রেনে করে হাওড়া আসার জন্য ডানকুনি থেকে ট্রেনে ওঠেন। বেলানগর স্টেশনে ঢোকার আগে ভিড়ে ঠাসাঠাসি ট্রেন থেকে পড়ে গিয়ে গুরুতর জখম হন। কলকাতায় নিয়ে আসার পথেই মৃত্যু হয় তাঁর।
স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ট্রেনটি বেলানগর স্টেশনে থামলে তাঁর স্ত্রী এবং সঙ্গীরা কান্নাকাটি জুড়ে দেন এবং লোকজন নিয়ে চন্দনবাবুর পড়ে যাওয়ার স্থানে গেলে তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করেন। বেলানগর স্টেশন মাস্টারের তৎপরতায় জিআরপি এবং আরপিএফের সহযোগিতায় ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে উত্তরপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তখন তাঁর অবস্থা ছিল অত্যন্ত গুরুতর। তাঁকে কলকাতায় রেফার করা হয়। কিন্তু, কলকাতায় নিয়ে যাওয়ার সময় পথেই মৃত্যু হয় ট্রেন থেকে পড়ে যাওয়া যাত্রীর। তখন আবার উত্তরপাড়া হাসপাতালে নিয়ে আসেন পরিবারের লোকজন!
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, লোকাল ট্রেনে এত ভিড় ছিল যে ট্রেনে ওঠার পর থেকেই অসুস্থ বোধ করছিলেন। পরিবারের অভিযোগ, ট্রেনে অতিরিক্ত মানুষ উঠে পড়ায় এবং ভিড়ের চাপে ধাক্কাধাক্কিতে পড়ে যান চন্দন প্রচণ্ড। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, আত্মীয়ের বিয়ের দেখাশোনার জন্য গিয়েছিলেন তাঁরা।
আরও পড়ুন : Howrah incident: হাওড়ায় ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় মা-মেয়েকে বেধড়ক মারধর, জখম ৪