বসিরহাট: হিঙ্গলগঞ্জে বোমা বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে একজনের। একজনের হাত উড়ে যাওয়ার খবরও পাওয়া যাচ্ছে। বেশ কয়েকজন জখম হয়েছেন। স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে খবর, বসিরহাটের হিঙ্গলগঞ্জ থানার স্যান্ডেলের বিল গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ বাঁকড়া গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্য আরুফা বিবি ও তাঁর স্বামী তৃণমূল নেতা ইকবাল আহমেদ ওরফে মুকুলের বাড়ির ৫০ মিটারের মধ্যে আফসার গাজির বাড়িতে বোমা বাঁধা হচ্ছিল।
বোমা বাঁধতে গিয়েই প্রাণ হারান বসিরহাটের বাগুন্ডি গ্রামের বাসিন্দা আতাউর। এই বিস্ফোরণে সুজন গাজি নামক এক যুবকের হাত উড়ে গিয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, একজন পঞ্চায়েত সদস্য ও তাঁর স্বামী একজন দাপুটে তৃণমূল নেতার বাড়ির মাত্র ৫০ মিটারের মধ্যেই যেখানে বোমা বাধা হচ্ছে, সেই খবর কি সত্যিই রাখতেন না তাঁরা? এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ইকবাল আহমেদ ওরফে মুকুলকে গ্রেফতার করেছে হিঙ্গলগঞ্জ থানার পুলিশ।
কিন্তু কে এই মুকুল? এলাকাবাসী জানাচ্ছেন, তাঁর স্ত্রী আরুফা বিবি গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য। তিনি নিজে ঠিকাদারি সংস্থার মালিক। পলিক্লিনিক সহ একাধিক ব্যবসাও চালান তিনি। যদিও এলাকাবাসীর দাবি, মুকুল গোটা গ্রামে সাম্রাজ্য বিস্তার করতে চেয়েছিল। একাধিকবার গ্রামবাসীরা রুখে দাঁড়ালে তাঁদেরকে ভয় দেখিয়ে আতঙ্কের মধ্যে রেখে দেওয়া হত। ধৃতকে শুক্রবার বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়।
এতো বোমা তৈরির সঠিক কারণ কী? সেটা নিয়েই সন্দিহান গ্রামবাসী থেকে শুরু করে পুলিস-প্রশাসন। এই বোমা-গুলি কী সে মানুষকে ভয় দেখানোর কাজে ব্যবহার করতো? নাকি এটা কোনও রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র ছিল? সপ্তাহখানেক আগে একটি পুকুর ঘাট সংস্কারকে কেন্দ্র করে দুই ঠিকাদারি সংস্থার মধ্যে বিবাদ বেধেছিল। তার সঙ্গে এই ঘটনার যোগ রয়েছে কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুরো ঘটনার তদন্তে নেমেছে হিঙ্গলগঞ্জ থানার পুলিস।