বাঁকুড়া : ১ লক্ষ টাকা দিলেই পাওয়া যাবে রেলের চাকরি। চাকরি প্রার্থী সেই মত ১ লক্ষ টাকা দেন। তার বিনিময়ে তাঁকে দেওয়া হয় চাকরির নিয়োগপত্র এবং আই কার্ড। নিয়োগপত্র হাতে পেয়ে চাকরিতে যোগ দিতে গিয়েই টের পেলেন সব জাল। এই ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে বাঁকুড়া শহরের লালবাজার এলাকায়। টাকা দেওয়ার নাম করে অভিযুক্ত ডেকে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেয় জনতা। মোট ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ায়। বাঁকুড়ার ওন্দা থানা এলাকায় ধুবড়াকোনের যুবক অনন্ত কিশোর চট্টোপাধ্যায় রেলে চাকরির জন্য ফাঁসিডাঙার বাসিন্দা বিল্টু কর্মকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। অভিযোগ, এই বিল্টু কর্মকার ও তার কয়েকজন সঙ্গী রেলে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে ১ লক্ষ্য টাকা লাগবে বলেও দাবি করেন। রেলের চাকরি পাবেন ১ লক্ষ টাকার বিনিময়ে এক শিক্ষিত বেকার যুবক হিসেবে হাতছাড়া করতে চায়নি অনন্ত। তাই সহজেই রাজি হয়ে কিশোর ১ লক্ষ টাকা দিয়ে দেন বিল্টুকে। টাকা দেওয়ার পরেই রেলে চাকরির জয়েনিং লেটার এবং আই কার্ড দেওয়া হয় অনন্ত কিশোর চট্টোপাধ্যায়কে। সেই নিয়োগপত্র ও আই কার্ড হাতে পেয়ে চাকরিতে যোগ দিতে এসে অনন্ত কিশোর বুজতে পারেন যে, তাঁকে ঠকানো হয়েছে। পরে চাকরির প্রতারণার বিষয়টি বাঁকুড়া শহরের এক আত্মীয়কে জানান তিনি। এরপরই আরও টাকা দেওয়ার ছক কষে ডেকে পাঠানো হয় অভিযুক্ত বিল্টু কর্মকারকে। রবিবার সকালে লালবাজার এলাকায় টাকা নিতে এলে অভিযুক্ত বিল্টুকে আটক করে রাখা হয়। খবর পেয়ে বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশ বিল্টুকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। তাকে জিজ্ঞাসা করে পুলিশ আরও দু’জনকে আটক করে। পুরো বিষয় খতিয়ে দেখছে পুলিশ। টাকা নিয়ে চাকরি দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন অভিযুক্ত। তবে তিনি একা নয়, তাঁর সঙ্গে আরও লোক রয়েছে তারাই এই কার্ড এবং নিয়োগপত্র দিয়েছিল।
আরও পড়ুন : মোবাইল টাওয়ার বসানোর নামে আর্থিক প্রতারণা, গ্রেফতার ৫
স্থানীয়দের দাবি, এ ভাবেই কিছু প্রতারক চাকরি করে দেওয়ার নাম করে বেকার যুবকদের কাছ থেকে টাকা আত্মসাত করছে। এদের বিরুদ্ধে আইনমূলক ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন বলেই মত স্থানীয়দের। তবে কতজনের কাছ থেকে টাকা কী পরিমাণ টাকা নেওয়া হয়েছে তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।