বীরভূম : দেশের ও দশের মঙ্গল কামনায় রীতি মেনে প্রতিবছরের মতো এবছরও বীরভূমের একান্ন পীঠের অন্যতম সতীপীঠ কঙ্কালীতলায় কুমারী পুজোর আয়োজন করা হয়। উদ্দেশ্য, দেশের এবং দেশের মঙ্গল কামনা। ৫১জন শিশুকন্যাকে নিয়ে সুসজ্জিত ভাবে করা হয় কুমারী পুজো।
প্রতিবছরের মতো এবছরও রীতি মেনে বীরভূমের ৫১ পিঠের অন্যতম সতীপীঠ কঙ্কালীতলায় শুরু হল কুমারী পুজো। দুর্গা পুজোর পর ত্রয়োদশীর দিন এই কুমারী পুজো হয়ে থাকে। স্থানীয় শিশুকন্যাদের নিয়ে প্রথা মেনে এই কুমারী পুজো আয়োজন করা হয়। ৫১ জন শিশুকন্যাকে সুন্দর ভাবে সাজিয়ে তাদের দেবীরূপে পুজো করা হয়।
আরও পড়ুন : করোনায় বন্ধ স্কুল, বই-খাতা ছেড়ে পাথর ভাঙছে বীরভূমের আদিবাসী ছেলে-মেয়েরা
কঙ্কালীতলা লাগোয়া কাপাসটিগুরি গ্রামের বাসিন্দা বুদ্ধদেব চট্টোপাধ্যায় আজ থেকে ৪৭ বছর আগে এই কুমারী পুজো শুরু করেছিলেন। উদ্দেশ্য একটাই, দেশের এবং দশের মঙ্গল কামনার জন্য স্থানীয় শিশুকন্যাদের সুসজ্জিত করে দেবীরূপে পুজো করা। দেবী কঙ্কালী পুরোহিত বুদ্ধ দেব চট্টোপাধ্যায়কে স্বপ্নাদেশ দেন। তাঁর সেই স্বপ্নাদেশ মতেই সতীর খন্ড খন্ড ৫১ টি দেহাংশ একত্রিত সংকল্প করে ৫১জন শিশুকন্যাকে দেবী রূপে পুজো করা হয়। এই কুমারী পুজো দেখতে কঙ্কালীতলা লাগোয়া গ্রামেগুলি থেকে অসংখ্য মানুষের ভিড় জমান। খুব স্বাভাবিক ভাবেই সাধারণ মানুষের উন্মাদনা থাকে চোখে পড়ার মতো।