জলপাইগুড়ি: হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হল বিধায়কের। ধূপগুড়ির (Dhupguri) বিজেপি বিধায়ক (BJP MLA) বিষ্ণুপদ রায় মঙ্গলবার ভোরে কলকাতার এসএসকেএম (SSKM) হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। এদিন সকাল সাতটায় চিকিৎসকদের তরফে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৬০ বছর। এদিকে, বিধায়কের মৃত্যুর জেরে ধূপগুড়ির রাজনৈতিক মহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
ধূপগুড়ি পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ছিলেন বিষ্ণুপদ রায়। বিধানসভার বাদল অধিবেশন ও বিজেপির স্টান্ডিং কমিটির বৈঠকে যোগ দিতে গত শনিবার ধূপগুড়ি থেকে কলকাতার উদ্দেশ্য রওনা দেন ধূপগুড়ির বিধায়ক। রবিবার তিনি কলকাতায় পৌঁছে গিয়েছিলেন। কিন্তু স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠকে যোগ দিয়ে যাওয়ার আগেই শারীরিক অসুস্থতা বোধ করেন বিধায়ক। বুকে ব্যথা শুরু হয়। তড়িঘড়ি তাঁকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ডান দিকের ফুসফুসে সংক্রমণের জন্য তাঁর অস্ত্রোপচারও করা হয়। তবে শেষ রক্ষা হলো না। মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন বিধায়ক বিষ্ণুপদ রায়।
আরও পড়ুন:Dengue Updates | কলকাতায় ডেঙ্গিতে ফের মৃত্যু রানাঘাটের প্রৌঢ়ার, জেলায় বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা
দলীয় নেতার প্রয়াণে শোক জানিয়ে টুইট করেন শুভেন্দু অধিকারী। বিধায়কের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করে টুইট করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, ‘জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক মাননীয় শ্রী বিষ্ণুপদ রায়ের প্রয়াণে আমি গভীরভাবে শোকাহত। তাঁর এই অকাল বিদায়ে বাংলার পরিষদীয় রাজনৈতিক ক্ষেত্রে এক শূন্যতার সৃষ্টি হল। আমি শ্রী রায়ের আত্মীয়-পরিজন, বন্ধুবান্ধব ও অনুরাগীদের আন্তরিক সমবেদনা জানাই।’ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় রাজ্য বিজেপির কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হবে বিধায়কের মরদেহ। সেখান থেকে সকাল ১১টায় বিধানসভায় নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে শেষ শ্রদ্ধা জানাবেন বিধায়করা।
আরও পড়ুন:Bally Incident | ফেসবুকে ফিল্ম ডিরেক্টরের পরিচয় দিয়ে যুবতীকে নির্যাতন, গ্রেফতার ৩