বক্রেশ্বর: শ্রাবণের সোমবারে ছন্দে ফিরল শৈব তীর্থধাম বক্রেশ্বর। গত বছর করোনার সময় লকডাউন থাকায় বন্ধ ছিল মন্দির। বন্ধ ছিল যান চলাচল। ফলে গত শ্রাবণ মাসে ভক্তরা জল ঢালতে পারেননি বক্রেশ্বরে। এক বছর পর সে সুযোগ মিলল ভক্তদের।
আরও পড়ুন: BREAKING: পেগাসাস আড়িপাতা কাণ্ডে তদন্ত কমিশন গঠন করল রাজ্য
করোনার প্রকোপ কিছুটা কমে যাওয়ায় ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়েছে জনজীবন। ভক্তদের কথা মাথায় রেখে বিধিনিষেধ মেনেই শ্রাবণী সোমবারে শিবের মাথায় জল ঢালার এবং পুজোর অনুমতি মিলেছে মন্দির কমিটির উদ্যোগে। তবে রয়েছে পুলিশি পাহারা। মাস্ক পড়ে সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে লাইনে দাঁড়ালে তবেই মিলছে পুজো দিতে পারার অনুমতি।
আরও পড়ুন: মোদির বিরোধিতায় তৃণমূলের কাছাকাছি বামেরা, বিমানের কথায় জল্পনা
পৌরাণিক মিথ অনুসারে, বক্রেশ্বরে বক্রনাথ মুনির তপস্যায় তুষ্ট হয়ে বাবা ভোলানাথ বিরাজ করেন। ভক্তই বড় তাই সর্বপ্রথম অষ্টবক্র মুনির পূজা হয় এখানে। শিবের মন্দির ছাড়াও বীরভূমের পাঁচটি সতীপীঠের অন্যতম সতীপীঠ মহিষমর্দিনী মন্দির এখানেই অবস্থিত। কথিত, এখানে সতীর দেহ খন্ডাংশ দুই ভ্রুর মধ্যবর্তী অংশ পড়েছিল। তাই সারাবছর ভিড় লেগেই থাকে বক্রেশ্বরে। শ্রাবণ মাসে তা আরও বেড়ে যায়।
আরও পড়ুন: অভিনব কায়দায় লক্ষাধিক টাকা ছিনতাই রাজারহাটে
মন্দির খুলে যাওয়ায় সোমবার সকাল থেকেই রাস্তায় চোখে পড়েছে শিব ভক্তদের ঢল। বাঁকে করে কাঁধে জল নিয়ে বহু পুণ্যার্থী যাচ্ছেন শিবের মাথায় জল ঢালতে। দীর্ঘদিন পর বক্রেশ্বর মন্দির খোলায় মন্দির কমিটি যেমন খুশি তেমনই করোনাবিধি মেনে বাবার মাথায় জল ঢালতে পেরে খুশি ভক্তরাও।