কলকাতা: রবিবার এক মঞ্চে দেখা গিয়েছিল সিপিএম আর তৃণমূলকে। সেখানেই বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু জানান, সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী, কোচি থেকে কোহিমা পর্যন্ত কোনও আন্দোলন সংগ্রামের প্রশ্ন দেখা দিলে বিজেপি বিরোধী সব শক্তির সঙ্গে একজোট হয়ে কাজ করতে প্রস্তুত তাঁরা। এরপরই জোর জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক শিবিরে। সোমবার দিল্লি যাচ্ছেন মমতা। সেখানে আগামী ২৮ তারিখ বিজেপি বিরোধী দলগুলির সঙ্গে বৈঠক ডেকেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সূত্রের খবর ওই বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বামেদেরও।
আরও পড়ুন: কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা বি এস ইয়েদুরাপ্পার
রবিবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় নির্মল জানার স্মরণসভা ছিল। সিপিআইএমের এক সময়ের সম্পাদক মন্ডলীর সদস্যের স্মরণে হাজির হয়েছিলেন দলের পলিটব্যুরোর সদস্য বিমান বসু। ওই একই মঞ্চে দেখা গিয়েছে তমলুকের তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীকে। এ ছাড়াও ওই মঞ্চে ছিলেন, বাম নেতা রবিন দেব, মিনতি ঘোষ, পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন সিহি সহ একাধিক বাম নেতারা।
আরও পড়ুন: কৃষি আইনের প্রতিবাদে ট্রাক্টর চালিয়ে সংসদে রাহুল গান্ধী
বিধানসভা নির্বাচনে বামেরা কোনও আসন পায়নি পশ্চিমবঙ্গে। বিধানসভায় একজনও বিধায়ক নেই তাঁদের। যা নজিরবিহীন। এ বারের ভোটে কংগ্রেস আর আইএসএফের সঙ্গে জোট বেঁধেছিল বামেরা। আইএসএফ জিতেছে মাত্র একটি আসনে। অন্যদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল বিপুল ভোটে জিতে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এসেছে। রুখে দিয়েছে মোদি-শাহ্-এর বিজেপিকে। সামনেই ২০২৪ এ লোকসভা নির্বাচন। এই নির্বাচনে বিজেপি বিরোধী সব শক্তিকে একজোট হওয়ার বার্তা দিয়েছেন মমতা। সোমবার সেই বার্তা জোরদার করতে দিল্লি যাচ্ছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তাতে সায় দিয়েই কী পরোক্ষ ভাবে বিমান বসুর এ দিনের এই মন্তব্য? তাহলে কী জাতীয় স্তরের রাজনীতিতে যুযুধান দুই পক্ষ সিপিএম আর তৃণমূলকে কখনও একসঙ্গে এক মঞ্চে দেখতে পাওয়া যাবে? বিমান বসুর কথা উসকে দিয়েছে জল্পনা।