মেদিনীপুর: দেশজুড়ে কোভিডের তৃতীয় ঢেউ ছড়িয়ে পড়লেও এখনও করোনার টিকা নিতে আগ্রহী নন অনেকেই। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই টিকার দ্বিতীয় ডোজ না নেওয়ার ছবি উঠে আসছে। সরকারি তথ্য বলছে, পশ্চিম মেদিনীপুরে দ্বিতীয় ডোজ নেননি ৪০ শতাংশেরও বেশি মানুষ। অথচ টিকার জোগান ও পরিকাঠামো রয়েছে যথেষ্ট।
টিকার দ্বিতীয় ডোজ না নেওয়ায় উদ্বিগ্ন জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতর। এই কারণেই মঙ্গলবার মেদিনীপুরে জেলাশাসকের দফতরে একটি জরুরি বৈঠক হয়। জেলাশাসক রেশমি কমল ছাড়াও ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেলা স্বাস্থ্য কমিটির চেয়ারম্যান অজিত মাইতি সহ অন্যান্য আধিকারিক। ভার্চুয়ালি এই বৈঠকে ছিলেন জেলার একুশটি ব্লকের আধিকারিক, স্বাস্থ্যকর্তা, জনপ্রতিনিধি ও মন্ত্রী-বিধায়ক।
টিকা না নেওয়ার প্রবণতা ঠেকাতে বাড়ি বাড়ি ঘোরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আশাকর্মীদের। টিকাকরণের সচেতনতা বাড়াতে যাঁরা প্রশাসনের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার। টিকা না পাওয়া বাসিন্দাদের চিহ্নিত করে তালিকা তৈরির কথা বলা হয়েছে। মাঠে নামতে বলা হয়েছে জনপ্রতিনিধিদের।
আরও পড়ুন: Doctor’s on Wheels: অভিষেকের পরামর্শে ডায়মন্ড হারবারে চালু ডক্টরস অন হুইলস
প্রশাসনের পরিসংখ্যান বলছে, পশ্চিম মেদিনীপুরে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ২০০। তৃতীয় ঢেউয়ে দেড় হাজার অ্যাক্টিভ কেস রয়েছে ওই জেলাতে। হাসপাতালে ভর্তি ৩৭ জন, মৃত্যু হয়েছে একজনের। সংক্রমণ দ্রুতগতিতে বাড়ছে কেন, তা দেখতে গিয়ে প্রশাসনের হিসেবে ধরা পড়েছে প্রথম টিকা নেওয়ার পর সময় পেরিয়ে গেলেও ৪০ শতাংশেরও বেশি মানুষ দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করছে না। এর আগে তাদের পুলিসের ভয়ও দেখানো হয়েছিল। এবার আশা কর্মীদের পাঠানো হচ্ছে বকেয়া টিকা প্রাপকদের চিহ্নিত করতে।
জেলাশাসক রেশমি কমল জানিয়েছেন, ‘জরুরিকালীন এই বৈঠকে বেশকিছু নতুন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তারমধ্যে বকেয়া টিকা প্রাপকদের চিহ্নিত করে তাদের বাড়িতে পাঠানো হচ্ছে আশা কর্মীদের। জেলাতে ৬০ শতাংশই মাত্র দ্বিতীয় ডোজের টিকাকরণ সম্ভব হয়েছে । দ্রুত ১০০ শতাংশ সম্পন্ন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’