ইতালি-৩ তুরস্ক-০
(দেমিরাল–নিজ গোল, ইম্মোবাইল, ইনসিগনে)
চার বারের বিশ্ব কাপ চ্যাম্পিয়ন ইতালি এক বারই ইউরোপ সেরা হয়েছে। তাও সেই ১৯৬৮ সালে। গত বিশ্ব কাপে তারা কোয়ালিফাই পর্যন্ত করতে পারেনি। কিন্তু শুক্রবার রোমের অলিম্পিক স্টেডিয়ামে যে ইতালিকে দেখল ফুটবলপ্রেমীরা সেই ইতালি একেবারে অন্য রকম। এই ইতালি প্রচুর পাস খেলে। এই ইতালি গোলে প্রচুর শট নেয়। এবং এই ইতালি ইউরোর কোনও ম্যাচে এই প্রথম ৩-০ জেতে।
তবে যে দাপটে নব্বই মিনিট ইতালি তুরস্কের ডিফেন্স এলাকা দাপিয়ে বেড়িয়েছে তাতে তারা আরও বড় ব্যবধানে জিততে পারত। প্রথম ৪৫ মিনিটে তারা গোলে বারোটা শট নিয়েছে, যার মধ্যে গোলকিপারের হাতে গেছে তিনটে। এবং বিরতির পর যে তুরস্ক ডিফেন্স আত্মসমর্পণ করবে তা যেন অবধারিতই ছিল। তবে রবের্তো মানচিনির ইতালিকে দেখে যেটা অবাক হওয়ার ব্যাপার তা হল মাঝ মাঠে পাসের ঘনঘটা। এত পাস তো জাভি-ইনিয়েস্তার স্পেন খেলত। তবে এই ফুটবল খেলেই তারা ২৮টি ম্যাচে অপরাজিত। পাস বেশি খেলেছে বলে ইতালি যে ডিফেন্সে গাফিলতি করেছে তা বলা যাবে না। চিয়েলিনির নেতৃত্বে ইতালিয়ান ডিফেন্স কিন্তু নিচ্ছিদ্র ছিল। গোলকিপারকে তেমন বল ধরতেই হয়নি। কিন্তু তুরস্কের গোলকিপার কার-কে প্রচুর বল বাঁচাতে হয়। এর মধ্যে একটা নিশ্চিত পেনাল্টি থেকে বঞ্চিত হয় ইতালি।
কিন্তু ৪৯ মিনিটেই প্রতিরোধ ভেঙে যায় ইতালির। বক্সের ডান দিক থেকে বেরাদির শট ব্লক করতে গিয়ে বল লাগে দেমিরালের বুকে এবং দিক বদলে তা গোলে ঢুকে যায়। এর পর ৬৬ মিনিটে গোল করেন লাজিও-র স্ট্রাইকার সিরো ইম্মোবাইল। ৭৯ মিনিটে ৩-০ করেন লরেঞ্জিও ইনসিগনে।